অনুশীলনে নিজেকে তৈরি করছেন কঠিন চ্যালেঞ্জের জন্য। সম্প্রতি নিজের ভূমিকা কী হতে চলেছে সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পঞ্জাব ব্যাটসম্যান জানিয়েছেন," দল যদি ওপেনার হিসেবে খেলাতে চায় আমি রাজি। যদি প্রয়োজনে মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে হয় তাতেও রাজি। স্ট্রাইক রেট নিয়ে বড্ড বেশি আলোচনা হয়। আমার মনে হয় স্ট্রাইক রেট নির্ভর করে ম্যাচের পরিস্থিতির ওপরে। দেখবেন কখনও ১০০ স্ট্রাইক রেট নিয়ে কাজ হয়ে যায়, আবার সেরকম হলে ২০০ স্ট্রাইক রেট রেখে ব্যাট করতে হয়"।
advertisement
শুভমান মনে করেন একজন আদর্শ ব্যাটসম্যান যেকোনও পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেয়। সেটাই চ্যালেঞ্জ। যে ব্যাটসম্যান একই ভঙ্গিতে ইনিংস সাজায়, তাঁকে আউট করা সহজ। তাই তিনি মনে করেন ব্যাটসম্যানদের পক্ষে কোনও নির্দিষ্ট ভঙ্গি অবলম্বন না করাই উচিত। জাতীয় দলের হয়ে টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে এখনও অভিষেক হয়নি তাঁর। গিল মনে করেন তিন বিভাগেই তিন রকমের চ্যালেঞ্জ। টি টোয়েন্টিতে যেমন অনেক দ্রুত পরিকল্পনা সাজাতে হয়। তবে লক্ষ্য করার মত বিষয় হল যখনই কেকেআর ব্যাটিং অনুশীলন করছে গিলকে রাখা হচ্ছে প্রথমে। যা ইঙ্গিত করে তাঁকে সম্ভবত ওপেনার হিসেবে খেলানোর কথা ভাবছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
কিন্তু পাশাপাশি আইপিএল পরীক্ষার মঞ্চ। তাই বিভিন্ন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে নিজেকে মানসিকভাবে তৈরি রাখছেন শুভমান। গৌতম গম্ভীর থেকে শুরু করে সুনীল গাভাসকার, রাহুল দ্রাবিড় থেকে শুরু করে যুবরাজ সিং, তাঁর প্রশংসা করেননি এমন প্রাক্তন ক্রিকেটার খুঁজে পাওয়া যাবে না। তিনি যে লম্বা রেসের ঘোড়া সেটা এক কথায় মেনে নিয়েছেন সবাই। কিন্তু ঠাণ্ডা মাথার ক্রিকেটার শুভমান জানেন মহান অনিশ্চয়তার খেলায় ওপরে উঠতে যেমন প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়, তেমনই ফর্ম হারিয়ে নীচে নামতেও বেশি সময় লাগে না। তাই অতিরিক্ত প্রশংসা তাঁর ফোকাস যাতে না নড়ে যায়, সেদিকে যথেষ্ট সচেতন তিনি। আপাতত লক্ষ্য একটাই। নাইট রাইডার্স জার্সিতে ধারাবাহিক সাফল্য।