এই মুহূর্তে ভারতে রয়েছেন ১০ জন নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার, ১১ জন ইংলিশ ক্রিকেটার। বাকিরা রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে। এঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চিন্তা অস্ট্রেলিয়ানদের। কারণ সে দেশের সরকার ভারতের সঙ্গে উড়ান বাতিল করেছে। পাশাপাশি ভারত থেকে এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ায় ঢোকার অনুমতি নেই অস্ট্রেলিয়ানদের। ৩ মে থেকে শুরু হওয়া এই নিয়ম চলবে ১৫ মে পর্যন্ত।
advertisement
তবে আজ টুর্নামেন্ট বাতিল হওয়ার পর কিছুটা স্বস্তি পেতে পারেন সব বিদেশিরা। আইপিএল চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেল খুলে না বললেও কথা দিয়েছেন বিদেশি ক্রিকেটারদের দেশে ফেরানোর। তবে কী প্রক্রিয়ায় সেটা করা হবে সেই নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। কিন্তু কিছু একটা উপায় বের করা হবে কথা দিয়েছেন তিনি। কয়েকদিন আগেই ভারতীয় বোর্ডের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল যতক্ষণ না প্রত্যেক বিদেশি ক্রিকেটারকে নিজেদের দেশে ফেরানো হচ্ছে, ততক্ষণ বিসিসিআইয়ের দায়িত্ব শেষ নয়। ইতিমধ্যেই এক অস্ট্রেলিয়ান কমেন্টেটর আক্রমণ করে বসে আছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে। এই পরিস্থিতিতে দুশ্চিন্তা হওয়াটা স্বাভাবিক।
তবে ভারতীয় বোর্ডের ওপর আস্থা রাখছেন সকলে। সূত্রের খবর কিছু অস্ট্রেলিয়ান মালদ্বীপ হয়ে দেশে ফিরছেন। তবে সেই সংখ্যাটা নগণ্য। যতদিন না অস্ট্রেলিয়ান সরকার নিয়ম শিথিল করছে ততদিন ভারতে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের দায়িত্ব নিতে হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে। কিছু সহায়তা করবে বোর্ড। ইয়ন মর্গ্যান, জনি বেয়ারস্টো, জস বাটলারদের আবার দেশে ফেরার পর ১০ দিন কোয়ারেন্টাইন থাকতে হবে। ভারতকে ইতিমধ্যেই লাল তালিকায় ফেলেছে ব্রিটেন।
ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সেইফার্ট, কাইল জেমিসনদের আবার নিউজিল্যান্ডে ফিরে দুই সপ্তাহ নিভৃতবাস পর্ব কাটাতে হবে। ভারতীয় বোর্ডের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের বোর্ড যোগাযোগ রেখে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকার এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নজর রাখছে। তবে ব্রেট লি, ম্যাথু হেডেনদের মত প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং বর্তমান ধারাভাষ্যকাররা জানিয়েছেন ভারতে সুখেই আছেন তাঁরা। ভারত দ্বিতীয় বাড়ি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দেশে ফিরবেন।