কিন্তু এবার স্বপ্ন সফল হয়েছে। দিল্লির হয়ে দুরন্ত বল করেছেন তিনি। মহেন্দ্র সিং ধোনির স্টাম্প ছিটকে দিয়েছেন। খাতা না খুলেই ড্রেসিংরুমে ফিরতে হয়েছিল প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে। আবেশ জানিয়েছেন," বলতে পারেন আমার জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত মাহি ভাইকে বোল্ড করা। ভাষায় বোঝাতে পারব না ঠিক ওই সময় কী অনুভুতি হচ্ছিল। ওই একটা উইকেট আমার আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে আমরা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করেই মাহি ভাইয়ের বিরুদ্ধে বল করেছিলাম। পরিকল্পনার ফসল পেয়েছি"। ধোনি ছাড়া ডু প্লেসিকেও এলবি করেছিলেন তিনি। তরুণ ফাস্ট বোলার মনে করেন এই টুর্ণামেন্টে দিল্লির ফাস্ট বোলিং ইউনিট সেরা।
advertisement
প্রথম ম্যাচে কোয়ারেন্টাইন পর্ব শেষ হয়নি বলে খেলতে পারেননি দুই দক্ষিণ আফ্রিকান জোরে বোলার রাবাডা এবং নোকিয়া। এছাড়া অভিজ্ঞ ইশান্ত শর্মা এবং উমেশ যাদব রয়েছেন দলে। তাই তরুণ আবেশ খানের কাছে কঠিন চ্যালেঞ্জ নিজের জায়গা ধরে রাখা। কিন্তু তিনি নিশ্চিত কঠিন পরিশ্রম করে তিনি এই মুহূর্তে যে ছন্দে রয়েছেন, তাতে দলে জায়গা ধরে রাখতে পারবেন। পাশাপাশি জানাচ্ছেন প্রতি মুহূর্তে অনুশীলন চলাকালীন সিনিয়র বোলারদের থেকে শেখার চেষ্টা করছেন। ভাল করেই জানেন অভিজ্ঞতার দিক থেকে বাকিদের থেকে তিনি পিছিয়ে।
তাই টুর্নামেন্ট যত এগোবে ততই কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে তাঁকে। কিন্তু ইন্দোর শহরের তরুণ পেসার যে কোনও পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত। নিজেকে সেভাবেই তৈরি করেছেন। জানেন এই মুহূর্তে ভারতীয় দলের কড়া নাড়তে গেলে আইপিএলে পারফর্ম করা জরুরি। আগে ভারতীয় ক্রিকেটের ব্যাটসম্যানের অভাব না থাকলেও, ফাস্ট বোলারের অভাব ছিল প্রচুর। কিন্তু গত তিন বছর ছবিটা বদলে গিয়েছে। এই মুহূর্তে জাতীয় দলের ঢোকার জন্য একাধিক ফাস্ট বোলার লড়াই করছেন। আবেশ খানের আসল লক্ষ্য টিম ইন্ডিয়ার জার্সি গায়ে চাপানো। কিন্তু তার জন্য এই আইপিএল প্রচন্ড গুরুত্বপূর্ণ তাঁর কাছে।
