BARC-এর রিপোর্ট বলছে, এবার আইপিএলের ভিউয়ারশিপ ১৪ শতাংশ কমে গিয়েছিল। অর্থাৎ করোনায় ভীত-সন্ত্রস্ত মানুষ এবার আইপিএলের থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে আইপিএল চললেও টিআরপিতে বড়সড় প্রভাব পড়তে পারত। ফলে ম্যাচের সময় চলা বিজ্ঞাপনগুলোতে রেট রি-নেগোসিয়েট হতে পারত। টুর্নামেন্ট চললেও বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়ত বিসিসিআই। তবে এবারের মতো আইপিএল স্থগিত হয়েছে। যার জেরে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বিসিসিআইয়ের। সম্প্রচারক সংস্থাকেও বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। তবে বিসিসিআই বলছে, তাদের কাছে ক্রিকেটারদের স্বার্থ সবার আগে। ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি নিয়ে কোনওভাবেই টুর্নামেন্ট চালিয়ে যাওয়া যেত না।
advertisement
একের পর এক ক্রিকেটার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে আইপিএলে জৈব সুরক্ষা বলয় নিয়ে। কারণ বিসিসিআই একটা সময় দাবি করেছিল, ক্রিকেটাররা বিশ্বের অন্যতম সেরা জৈব সুরক্ষা বলয়ে রয়েছেন। তা হলে কী করে তাঁদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ হয়! এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বার্ক-এর রেটিং বলছে, আইপিএল স্থগিত না হলেও ভিউয়ারশিপ অনেকটাই কমে যেত। ২০২০ সালে আইপিএলের প্রতি ম্যাচে ভিউয়ারশিপ ৮.৩৪ মিনিট ছিল। কিন্তু এবার শেষ ১৭টি ম্যাচে ভিউয়ারশিপছিল ৬.৬২ মিনিট। বার্ক-এর তরফে আরও জানানো হয়েছে, আইপিএল শুরু হওয়ার প্রথম এক সপ্তাহ সব ঠিকঠাকই ছিল। তারপর হঠাৎ করেই টিআরপি পড়তে শুরু করে। দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর থেকেই আইপিএলের টিআরপিতে প্রভাব পড়তে শুরু হয়। যদিও বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি দাবি করেছিলেন, করোনা মহামারীর এই সময়ে মানুষের মুখে হাসি ফোটাচ্ছিল আইপিএল। এমনকী আইপিএলের জন্যই বহু মানুষ অনেকটা সময় বাড়িতে বসে ছিলেন। বিজ্ঞাপনদাতাদের সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, গতবারের থেকে এবার বেশি লোক আইপিএল দেখবে বলে তারা আশা করেছিলেন। সেই হিসাবে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট-এর রেট এবার বাড়ানো হয়েছিল। গত বছর ১০ সেকেন্ডের স্লট-এর জন্য ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা রেট ছিল। এবার সেটা বাড়িয়ে ১৩ লাখ টাকা করা হয়েছিল। কিন্তু টুর্নামেন্ট গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ভিউয়ারশিপ কমতে থাকে। যার প্রভাব পড়ে বিজ্ঞাপনেও।