ব্যক্তিগত জীবনের পাশাপাশি ক্রিকেট কেরিয়ারেও বড় ধাক্কা খেয়েছেন গব্বর। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত ভারতীয় দলে সুযোগ পাননি তিনি। আসলে বিসিসিআই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দলে আর ওপেনারদের ভিড় বাড়াতে চায়নি। বরং মিডল অর্ডার শক্তিশালী করতে চেয়েছিল। তাই বাদ পড়েছেন শিখর। দলে সুযোগ পেয়েছেন ঈশান কিষাণ, সূর্যকুমার যাদবের মতো কমবয়সীরা।
ব্যক্তিগত ও ক্রিকেটীয় জীবনে এমন দুঃসময়েও শিখর ধাওয়ান কিন্তু ফোকাস নষ্ট করেননি। আর সেটা তিনি বুঝিয়ে দিলেন আইপিএলে নেমেই। এদিন ৩৭ বলে ৪২ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেললেন ধাওয়ান। যদিও ম্যাচ জেতার অর্ধেক কাজটা করে রেখেছিলেন দিল্লির বোলাররা।এনরিচ নর্জে, অক্ষর প্যাটেল, কাগিসো রাবাডারা সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে কম রানে বেঁধে ফেলেছিলেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৪ রানে আটকে যায় সানরাইজার্সের ইনিংস। ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার রান পাননি। ঋদ্ধি, উইলিয়ামসন ১৮ রান করে আউট হন। মণীশ পান্ডে, রশিদ খানরাও এদিন বড় ইনিংস খেলতে পারেননি।
advertisement
আরও পড়ুন- ক্রিকেটে বড়সড় নিয়ম বদল, ব্যাটসম্যান বলে আর কিছু রইল না! সবাই 'ব্যাটার'
দিল্লির ব্যাটিং ইউনিট শক্তিশালী। তাই আন্দাজ করা গিয়েছিল, ১৩৪ রান তোলা খুব একটা কষ্টকর হবে না তাদের জন্য। বাস্তবে হলও তাই। তবে পৃথ্বী শ এদিন রান পেলেন না। মাত্র ১১ রান করে আউট হয়ে গেলেন তিনি। শিখর ধাওয়ান ছাড়া শ্রেয়াস আইয়ার ৪১ বলে ৪৭ রান করে দলকে জেতানোর মতো জায়গায় নিয়ে গেলেন। আর দিল্লির অধিনায়ক ঋষভ পন্থ ২১ বলে করলেন ৩৫ রান। গতবারের রানার্স-আপ দিল্লি কিন্তু এবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জোরালো দাবিদার। অন্যদিকে আইপিএল টেবিলের লাস্ট বয় হায়দরাবাদ করোনার ধাক্কায় কাবু। দিল্লির বিরুদ্ধে ম্যাচের আগেই দলের পেসার টি নটরাজনের করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এর পর দিল্লির কাছে এই হার তাদের হতাশা আরও বাড়াবে নিশ্চিত ভাবে।