#দুবাই: ম্যাচটা একদিকে যেমন ছিল আরসিবি বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, তেমনই ছিল বিরাট কোহলি বনাম রোহিত শর্মার লড়াই। ভারতীয় দলের দুই প্রধান ব্যাটসম্যানের মধ্যে একটা ঠান্ডা লড়াই যে কয়েক বছর ধরে জারি রয়েছে সেটা অজানা নয়। বিরাট কোহলি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিলে রোহিত শর্মা দায়িত্ব নেবেন সেটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। এরকম খবরও শোনা গিয়েছিল বিরাট কোহলি নাকি রোহিতকে সহকারি হিসেবে চাননি। কিন্তু জাতীয় দলে লড়াইটা প্রকাশ্যে আসে না। আইপিএলে সেই বাধ্যবাধকতা নেই।
advertisement
টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোহিত। আরসিবি ওপেনার দেবদত্তকে এদিন দ্রুত ফিরিয়ে দিলেন বুমরা। এরপর ভারত এবং বিরাট খেলাটা ধরে নিলেন। ভারত ৩২ করে ফিরে গেলেন। দুটি বাউন্ডারি এবং দুটি ওভার বাউন্ডারি মেরে। বিরাট নিজের স্বাভাবিক আক্রমনাত্মক খেলা বজায় রাখলেন। এদিন দেখেই মনে হচ্ছিল একটা আলাদা মোটিভেশন নিয়ে নেমেছেন।
বড় ব্যাটসম্যান সব সময় বড় ম্যাচে জ্বলে ওঠেন, সেটা প্রমান করার চ্যালেঞ্জ ছিল তার কাছে। বুমরা একটা বল বিরাটের পেটে লাগালেন। এরপর এক ওভারে একটি বাউন্ডারি এবং একটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে বুমরাকে জবাব দিলেন কিং কোহলি। ম্যাক্সওয়েল চেষ্টা করলেন রান বাড়ানোর। দুবাইয়ের উইকেটে বল দারুণ গতিতে ব্যাটে আসছিল। তাই ব্যাটসম্যানদের শট খেলতে অসুবিধে হচ্ছিল না।
ম্যাক্সওয়েল দেখার মত সুইচ হিট মারলেন কয়েকটা। বিরাট ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে সিঙ্গল, ডবল নিয়ে স্কোরবোর্ড চালু রাখলেন।চেন্নাই ম্যাচে অর্ধশত রান করার পর আবার এদিন অর্ধশতরান করলেন। প্রতিটা বলে, প্রতিটা ওভারে মুম্বই বোলারদের এবং ফিল্ডারদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন।
এই ম্যাচটা হেরে গেলে চাপ বাড়বে দুটো দলেরই। যে হারবে হারের হ্যাটট্রিক হবে। মুম্বইকে জিততেই হবে, না হলে প্লে অফ অনিশ্চিত হয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে বেঙ্গালুরু চাইবে না সম্মানের লড়াইয়ে হেরে যেতে। শেষপর্যন্ত অ্যাডাম মিলনের বলে আউট হয়ে ফিরলেন বিরাট (৫১)। এলেন ডি ভিলিয়ার্স।
ম্যাক্সওয়েল নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করলেন। ৫৬ রানে মারতে গিয়ে বুমরার বলে আউট হয়ে ফিরলেন।পরের বলেই আউট ডি ভিলিয়ার্স। পরপর দুই বলে দুটো বড় উইকেট তুলে নিলেন বুমরাহ।তবে শেষ দুই ওভারে বোল্ট এবং বুমরার বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে রানটা চেপে গেল আরসিবির।শেষ দুই ওভারে মাত্র ৯ রান উঠল।