#দুবাই: বিরাট কোহলির দলের মাঝারি রান তাড়া করতে নেমে রোহিত শর্মা এবং ডি কক দুরন্ত শুরু করেছিলেন। ৫৭ রানের পার্টনারশিপ হল দুজনের। চাহালের বলে ফিরে গেলেন ডি কক (২৪)। এলেন ঈশান কিষান। কিন্তু তিনি বেশি কিছু করতে পারলেন না। ৯ রান করে সেই চাহা লের বলেই ফিরে গেলেন। তবে রোহিত শর্মা নিজের স্বাভাবিক আক্রমনাত্মক ব্যাটিং বজায় রেখেছিলেন। ব্যক্তিগত ৪৩ রানের মাথায় মারতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন। উইকেট নিলেন ম্যাক্সওয়েল।
advertisement
ক্রুনাল পান্ডিয়া বোল্ড হলেন সেই ম্যাক্সওয়েলের বলে। বলটা স্পিন না করে সোজা এল। তাতেই বোকা বনে গেলেন ক্রুনাল। সিরাজের বলে সূর্যকুমার ৮ রান করে ফিরে গেলেন চাহালের হাতে ক্যাচ দিয়ে। মুম্বই মিডল অর্ডার এদিনও ব্যর্থ। একটার পর একটা উইকেট পড়ছিল, আর ডাগ আউটে সচিনের মুখে হতাশা ছেয়ে যাচ্ছিল। সাত নম্বরে এলেন হার্দিক পান্ডিয়া। সঙ্গে ছিলেন পোলার্ড। দুই বিগ হিটার ছিলেন বলে আশা ছিল মুম্বইয়ের।
কিন্তু ব্যর্থ হার্দিক। ৩ রান করে ফিরে গেলেন হর্ষল প্যাটেলের বলে। ক্যাচ নিলেন বিরাট কোহলি। হর্ষল নিলেন ২৩ উইকেট। পরের বলেই পোলার্ডকে (৭) বোল্ড করলেন স্লো বলে। পরের বলে এলবিডব্লিউ রাহুল চাহ্যার। হ্যাটট্রিক করলেন হর্ষল। এর আগে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে একবার পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন। আজ পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের কোমর ভেঙে দিলেন। আইপিএল ইতিহাসে আরসিবির তৃতীয় বোলার হিসেবে এই মাইলস্টোন স্পর্শ করলেন।
বুমরাহ বোল্ড হলেন চাহালের বলে। সাত থেকে ১৫ ওভারের মধ্যে ম্যাচটা হারল মুম্বই। ১৮ রানে ছয় উইকেট হারাল তাঁরা।মিলনেকে বোল্ড করে হর্ষল চার উইকেট নিলেন। বেঙ্গালুরু জিতল ৫৪ রানে। মুম্বই আরও চাপে পড়ে গেল। রোহিত শর্মার দলের বিরুদ্ধে সম্মানের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত বাজিমাত বিরাট কোহলির দলের। অন্যদিকে হারের হ্যাটট্রিক করে ফেলল মুম্বই। তাদের প্লে অফ খেলা কিছুটা চাপ বাড়ল।
রোহিত মেনে নিলেন ব্যাটিং ব্যর্থতায় এই শোচনীয় পরাজয়। ঈশান কিষানকে ওপরে তুলে আনার কারণ গতবার আইপিএলে দুরন্ত পারফরম্যান্স। প্রথম ম্যাচে নেমে ব্যর্থ হার্দিক। যে মুম্বই ব্যাটিং বিক্রমের জন্য বিখ্যাত, সেই দলের এমন পারফরম্যান্স ভাবা যায় না।