ওয়ার্নার, মণীশ পান্ডে, জনি বেয়রিস্তো প্রত্যেকেই ইতিমধ্যেই অর্ধশতরান করে ফেলেছেন কিন্তু তারপরেও দল জয়ের মুখ দেখেনি৷ এদিকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (MI) এ মরশুমে আরসিবি-র কাছে হারলেও কলকাতা নাইট রাইডার্সকে জেতা ম্যাচ হারিয়ে দিয়ে আত্মবিশ্বাসে ফুটছে৷
ব্যাটসম্যানদের পাশাপাশি SRH -ক্যাম্পের ধামাকা বোলার রশিদ খান দু‘টি ম্যাচেই ২ টি করে উইকেট পেয়েছেন৷ প্রথম ম্যাচে ২৪ রান দিয়ে ২ উইকেট এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি৷
advertisement
ওয়েস্টইন্ডিজ অলরাউন্ডার জেসন হোল্ডার আরসিবি-র বিরুদ্ধে ম্যাচে ৩ উইকেট পান কিন্তু তিনি ব্যাট হাত কার্যকর হতে পারেননি৷ ফলে একসময় যে দল ২ উইকেট খুইয়ে ১১৬ রান করেছিল তারা ১৫০ তাড়া করে উঠতে পারেনি৷
ভুবনেশ্বর কুমার সানরাইজার্সের স্ট্রাইক বোলার তিনি দুটি ম্যাচে একটি করেই উইকেট পেয়েছন৷ ২০১৬ -র চ্যাম্পিয়নরা এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে এদিন নিজেদের পারফরম্যান্সে আরও বেশি ধারাবাহিকতা দাবি করছে৷
এদিকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (MI) কেকেআরের নিশ্চিত জয়ের কেক মুখ থেকে কার্যত ছিনিয়ে নিয়েছে৷ ডেথ ওভারে তারা যেভাবে ম্যাচে ফিরে এসেছিল তা কুর্নিশযোগ্য৷ এই ম্যাচে তারা ১৫২ রানই করতে পেরেছিল৷ আর ওপেনিং পার্টনারশিপেই নীতিশ রাণা ও শুভমান গিলের ওপেনিং পার্টনারশিপ ছিল ৭২ রানের৷ প্রথম উইকেট তারা যখন খোয়ায় তখন তাদের ৯ ওভার খেলা হয়ে গিয়েছিল৷ কিন্তু এরপর যেন উইকেট খোয়ানোর ধুম পড়ে যায়৷ আর ১২২ রানে ৩ উইকেট থেকে কেকেআর ২০ ওভারে ৭ উইকেট খুইয়ে ১৪০ করে উঠতে পেরেছিল৷ ফলে যা হওয়ার তাই হয় ১০ রানে ম্যাচ হারে তারা৷
এই ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) এবং সূর্য কুমার যাদব (Suryakumar Yadav) যথাক্রমে ৪৩ ও ৫৬ রান করেন৷ মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এই ম্যাচে নিজের মিডল অর্ডারের থেকে আরও ভালো পারফরম্যান্স আশা করছে৷ এই ম্যাচে রাহুল চাহার ২৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট পেয়েছিল আর ট্রেন্ট বোল্ট ২ উইকেট নেন৷ এছাড়া কেকেআরকে জয়ের লাইন থেকে সরিয়ে দিয়েছিল জসপ্রীত বুমরাহের ডেথ ওভারের দুরন্ত বোলিং৷
