#দুবাই: রাজস্থানের ১৮৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ঝড়ের গতিতে শুরু করল পঞ্জাব কিংস। অধিনায়ক কে এল রাহুল এবং মায়ানক আগারওয়াল বিনা উইকেটে ১২০ রান তুলে ফেললেন। রাহুল আউট হলেন ৪৯ করে চেতনের বলে। তবে এদিন তার তিনটি ক্যাচ মিস করেন রাজস্থান ফিল্ডাররা। চারটি বাউন্ডারি এবং দুটি ওভার বাউন্ডারি মারেন রাহুল। ৬৭ করে রাহুল তেওয়াটিয়ার বলে ফিরে যান আগারওয়াল। ১২৬ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলে পঞ্জাব।
advertisement
মার্করাম এবং নিকোলাস পুরান এই জায়গা থেকে চেষ্টা করলেন খেলার মোমেন্টাম বজায় রাখতে। সিঙ্গল নিয়ে স্কোরবোর্ড চালু রাখলেন। লুজ বল বাইরে পাঠালেন।শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা নাটকীয় পর্যায়ে চলে গেল পুরান (৩২) আউট হওয়ার পর। শেষ ওভারে উত্তেজনা। দীপক হুদা এলেন। আউট হয়ে ফিরে গেলেন। শেষ ওভারে দুটি উইকেট তুলে ম্যাচের রঙ বদলে দিলেন কার্তিক ত্যাগী। হারের মুখ থেকে ম্যাচটা জিতে গেল রাজস্থান।শেষ দশ মিনিটে পট পরিবর্তন।এক কথায় অবিশ্বাস।
টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পঞ্জাব অধিনায়ক কে এল রাহুল। পিচ হালকা ঘাস থাকার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। এমনিতে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই ছিল এই ম্যাচটা। রাজস্থানের দুই ওপেনার লুইস এবং যশস্বী জয়সওয়াল দুর্দান্ত শুরু করলেন। প্রথম উইকেট পড়ল ৫৪ রানের মাথায়। ৩৬ রান করে আর্শদীপ সিং এর বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন লুইস। যতক্ষণ ছিলেন পাঞ্জাবের রক্তচাপ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু রিয়ান পরাগ ব্যর্থ। ফিরে গেলেন মাত্র ৪ রান করে। এলেন রাহুল তেওয়াটিয়া। দুই বাহাতি মিলে চেষ্টা করলেন দলের রান ২০০ পার করার। শামি দুরন্ত লাইন লেন্থের বল করলেন। মহিপাল মারতে গিয়ে ফিরে গেলেন আর্শদীপের বলে। তবে তার ৪২ রানের ইনিংস দলকে শক্তি দিল। আর্শদীপ বুদ্ধি করে বল করে পেলেন তিনটি উইকেট। পঞ্চম উইকেট নিলেন ত্যাগীকে বোল্ড করে। দুশো পৌঁছতে না পারলেও রাজস্থানের এই রান যথেষ্ট লড়াই করার মত।ক্রিকেট কেন মহান অনিশ্চয়তার খেলা সেটা আবার প্রমাণ হল আজকে। পঞ্জাব নিজেদের ভাগ্যকে দোষ দেওয়া ছাড়া আর কিছু করতে পারবে না।