খেলার বাইরে ভেঙ্কটেশ বই পড়তে ভালোবাসেন। রান্নার শো আর মুভি দেখাও তাঁর পছন্দের। নিজেকে থালাইভার রজনীকান্তের ভক্ত বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন ২৬ বছরের অলরাউন্ডার। তামিল ব্লকবাস্টার পাড়ায়াপ্পায় রজনীকান্তের বিখ্যাত পাঞ্চলাইন ইয়েন ভাঝি, থানি ভাঝি, যার অর্থ আমার পথ ইউনিক, সেটাই নিজের জীবনের পাঞ্চলাইন হিসেবে মনে করেন ভেঙ্কটেশ। আইপিএলের অভিষেকেই দলকে জেতানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়ে আইয়ার বুঝিয়ে দিলেন তিনি লম্বা রেসেরই ঘোড়া।
advertisement
তাঁর সাহসী রিভার্স স্যুইপ যেমন মনে গেঁথে রইল, তেমনই একই ওভারে যুজবেন্দ্র চাহালকে তিনবার বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে ৬০ বল বাকি থাকতেই নাইটদের কাঙ্ক্ষিত জয় এনে দিলেন ভেঙ্কটেশ। ২০১৮ সালে বেঙ্গালুরুতে বিগ ফোর-এর অন্যতম অ্যাকাউন্টিং ফার্ম (Chartered accountant) ডেলয়েটের ভারতের সদর দফতরে চাকরি পান তিনি। কিন্তু সেই চাকরিও প্রত্যাখ্যান করেন ক্রিকেটের জন্যই। এ জন্য আক্ষেপ নেই। কারণ সেই বছরই তাঁর মধ্যপ্রদেশের হয়ে রঞ্জি অভিষেক হয়।
মা হসপিটাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে অনেক বছর কর্মরত ছিলেন। তাঁরা চেয়েছিলেন আমার কমপ্লিট একটা বেসিক ডিগ্রি থাক। সে কারণেই এমবিএ (MBA) পড়া। ফ্যাকাল্টিদের সহযোগিতায় ক্রিকেট চালিয়েও এমবিএ ডিগ্রি লাভ করতে পেরেছি। মধ্যপ্রদেশের অনূর্ধ্ব ২৩ দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার পর ইতিমধ্যেই তখন টি ২০ ও ৫০ ওভারের ক্রিকেটে মধ্যপ্রদেশ সিনিয়র দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠেছেন ভেঙ্কটেশ।
সিএ ফাইনালের জন্য প্রস্তুত হতে গেলে হয় ক্রিকেট ছাড়তে হত, নাহলে সাময়িক ক্রিকেট কেরিয়ার থামিয়ে রাখতে হতোই। তখনই ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার কথা ভেবে সিএ থেকে সরে দাঁড়িয়ে এমবিএ পড়ার সিদ্ধান্ত নেন ভেঙ্কটেশ। নাইট রাইডার্স (KKR) দলে সুযোগ পেয়ে আর পেছন ফিরে তাকাতে চান না।
অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান দারুণ খুশি তার সাহসী ব্যাটিংয়ে। ওপেনিং সমস্যায় প্রতিবার ভুগতে হয় শাহরুখ খানের (Shahrukh Khan) দলকে। ভেঙ্কটেশ নিজের ছন্দ ধরে রাখতে পারলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারে কলকাতার ফ্রাঞ্চাইজি।নাইটদের নতুন তারকা হয়ে উঠতে চান তিনি।