চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে ম্যাচের ১৭তম ওভারে মাঠ ছাড়েন আন্দ্রে রাসেল। চার রান বাঁচালেও তাঁর পায়ে এতটাই যন্ত্রণা হতে শুরু করে যে, মাঠে ফেরার ঝুঁকি নিতে পারেননি ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার। রাসেলের চোটকে কেন্দ্র করে দিল্লি ম্যাচের আগে উদ্বেগ নাইট শিবিরে। মঙ্গলবার নাইটদের প্রতিপক্ষ দিল্লি ক্যাপিটালস। তার আগে রাসেল সুস্থ হয়ে উঠবেন কি না, নিশ্চিতভাবে বলতে পারলেন না দলের মেন্টর ডেভিড হাসি।
advertisement
ম্যাচ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে এসে তাঁর ঘোষণা, ‘‘রাসেলের চোট কতটা গুরুতর, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। রাসেল বলছিল, ওর হ্যামস্ট্রিংয়ে টান ধরেছে। যন্ত্রণাও অনুভব করছে। ওকে সুস্থ করে তোলার সব রকম চেষ্টা করা হবে। রাসেলের জন্য মেডিক্যাল দলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারাই ওর শুশ্রূষা করবে।’’ যোগ করেন, ‘‘আশা করি, ওর চোট সে রকম গুরুতর নয়। আমাদের দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার ও। একটাই প্রার্থনা, রাসেল যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে নাইট জার্সিতে মাঠে নামতে পারে।’’
প্লে অফ নিশ্চিত করতে হলে আর একটিও ম্যাচ হারা চলবে না শাহরুখ খানের দলের। হাতে রয়েছে চারটি ম্যাচ। হিসেব পরিষ্কার। চারে চার করতে পারলে প্লে-অফের টিকিট পেতে পারে দল। তাছাড়া অসম্ভব। অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান এবং কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম আশা হারাতে নারাজ। বিশেষ করে আরবে দ্বিতীয় পর্ব শুরু হওয়ার পর প্রথম দুই ম্যাচে আরসিবি এবং মুম্বইর বিরুদ্ধে যেভাবে দাপুটে জয় তুলে নিয়েছিল নাইট রাইডার্স, সেই ফর্ম বজায় রাখতে হবে বাকি চারটি ম্যাচে।
কিন্তু এই মুহূর্তে একমাত্র লক্ষ্য দিল্লি জয়। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করা হবে ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারকে খেলেন খেলানোর। না হলে সাকিব আল হাসান প্রথম দলে আসতে পারেন। এই পর্বে তিনটি ম্যাচে একবারও সুযোগ পাননি বাংলাদেশ অলরাউন্ডার। সাকিব এলে কম্বিনেশন কী হবে, সেটাও ভাবতে হবে নাইট শিবিরকে।