চারজন বিদেশীর বদলে এদিন রাজস্থানের বিরুদ্ধে তারা নামল তিন জনকে নিয়ে। কাগিসো রাবাডা ও এনরিচ নোর্জে ছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান সিমরন হেটমায়ারকে নিয়েছে দিল্লি। আর মার্কাস স্টইনিস-এর বদলে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে ললিত যাদবকে। তবে আইপিএলে অবশ্য চারের বদলে তিন জন বিদেশি নিয়ে নামার ঘটনা প্রথম নয়।
২০১৯ সালে দিল্লি ও সিএসকে একই ম্যাচে তিনজন করে বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে মাঠে নেমেছিল। ২০১৭ সালে দিল্লি ও আরসিবি তিনজন করে বিদেশি খেলিয়ে ছিল একটি ম্যাচে। অর্থাৎ বারবার তিনজন বিদেশি নিয়ে মাঠে নামার সাহস দেখাচ্ছে দিল্লি।
advertisement
যদিও আইপিএলে দুজন বিদেশি নিয়ে মাঠে নামার সাহস একমাত্র দেখিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০১১ সালে চেন্নাই-এর বিরুদ্ধে এমনটা করেছিল কেকেআর। তবে এমন সাহস দেখানোর মাশুল গুনতে হয়েছিল তাদের। চেন্নাই এর কাছে সেই ম্যাচে হেরেছিল কলকাতা। দিল্লি অবশ্য আইপিএলে এবার দল গড়ার সময় থেকেই একের পর এক সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দিল্লি ক্যাপিটালস টপ অর্ডারে ভারতীয় তারকাদের ওপরই আস্থা রেখে এসেছে। বরাবর শিখর ধাওয়ান , পৃথ্বী শদের উপরই ভরসা রেখেছে দিল্লি। আবার অস্ট্রেলিয়ার তারকা ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথকে রিজার্ভ বেঞ্চে রাখার সাহস দেখিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন- Jayawardene consultant : টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বিশেষ দায়িত্বে জয়বর্ধনে
গত ম্যাচে জিতেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। তবে দলের ওপেনার পৃথ্বীর রান না পাওয়াটা অবশ্যই টিম ম্যানেজমেন্টকে চাপে রাখছে। পরপর দুই ম্যাচে রান পেলেন না তিনি। রাজস্থানের বিরুদ্ধে করলেন মাত্র ১০ রান। গত ম্যাচে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে রান পাওয়া শিখর ধাওয়ান এই ম্যাচে ফিরলেন মাত্র ৮ রান করে। তবে শ্রেয়াস আইয়ার ৪৩ রান করেছেন। এদিকে এদিন ২৪ রানে ঋষভ পন্থকে ফেরালেন বাংলাদেশের পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। সুযোগ পাওয়া সিমরন হেটমায়ার করলেন ২৮ রান। দিল্লি করল ১৫৪ রান।
জোফরা আর্চার, বেন স্টোকসের মতো তারকারা চোটের জন্য ছিটকে গিয়েছেন। ফলে এমনিতেই এবার বেশ চাপে রয়েছে রাজস্থান রয়েলস। তবে রাজস্থানের ব্যাটিং লাইন কিন্তু খারাপ নয়। সঞ্জু স্যামসন, ডেভিড মিলার, যশস্বী জয়সওয়ালের মতো ব্যাটসম্যানরা রয়েছেন। ১৫৪ রানের পুঁজি নিয়ে দলকে জেতাতে হলে দিল্লির বোলারদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। তবে এটাও ঠিক, দিল্লির বোলিং লাইন আপ যথেষ্ট শক্তিশালী।