গ্রুপ পর্বের সেরা দল দিল্লি। ২০ পয়েন্ট পেয়ে এক নম্বরে শেষ করেছেন পন্থরা। পয়েন্ট তালিকায় দু’নম্বরে থাকা চেন্নাই সুপার কিংস অবশ্য আচমকা ফর্ম হারিয়েছে। শেষ তিনটি ম্যাচেই হেরেছেন ধোনিরা। পরাজয়ের হ্যাটট্রিকের ধাক্কা সামলে জয়ের সরণিতে ফিরতে মরিয়া তারা। অবশ্য ফর্মের বিচারে এগিয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসই। চলতি প্রতিযোগিতাতে দু’বারের মুখোমুখি সাক্ষাতে সিএসকে’কে বশ মানিয়েছেন পন্থরা। এমনকী, ধোনিদের বিরুদ্ধে তার আগের দু’টি মোকাবিলাতেও শেষ হাসি হেসেছিল দিল্লি।
advertisement
গতবার ফাইনালে উঠেও খেতাব জিততে না পারার আক্ষেপ এবার আরও আগ্রাসী করে তুলেছে রাজধানীর ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে।প্রথমবার ট্রফি জয়ের মহাসংকল্প সামনে রেখে এগিয়ে চলেছে পন্থ-ব্রিগেড। অন্যদিকে, চেন্নাই আবার তিনবারের চ্যাম্পিয়ন। আসল সময়ে নিজেদের মেলে ধরার ব্যাপারে হলুদ জার্সিধারীদের জুড়ি নেই। আটবার ফাইনালে উঠেছে তারা। প্লে-অফে অতীতে দিল্লিকেও হারিয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক হারের হ্যাটট্রিক অনেক অপ্রিয় প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
ধোনি বরাবরই পরীক্ষিতদের উপর ভরসা রাখতে ভালোবাসেন। যার পরিণতি, দলে বয়স্কদের ভিড়। তাঁর ব্যাটও জ্বলে উঠছে না। ১৪ ম্যাচে মাত্র ৯৬ রান করেছেন মাহি। সুরেশ রায়নাকে (১২ ম্যাচে ১৬০ রান) অতীতের ছায়া মনে হচ্ছে। তবে দুই ওপেনারই আছেন মেজাজে। ঋতুরাজ গায়কোয়াড় (৫৩৩ রান) ও ফাফ ডু’প্লেসির (৫৪৬ রান) উপর রবিবারও ভরসা রাখবে দল। মিডল অর্ডারে রয়েছেন মঈন আলি, অম্বাতি রায়ডু, রবিন উথাপ্পা, রবীন্দ্র জাদেজা। সিএসকে’র সফলতম বোলার শার্দূল ঠাকুর (১৮ উইকেট)।
দিল্লির দুই ওপেনার, পৃথ্বী সাউ (৩৬২ রান), শিখর ধাওয়ানও (৫৪৪ রান) রানের মধ্যে রয়েছেন। অধিনায়ক পন্থ (৩৬২ রান) বড় শট খেলার ক্ষমতা ধরেন। ছন্দে ফিরিছেন শ্রেয়স আয়ার। চোট সারিয়ে অলরাউন্ডার মার্কাস স্টোইনিস দলে ফিরলে গভীরতা আরও বাড়বে। দিল্লির বোলিংয়ে রীতিমতো ভারসাম্য রয়েছে। পেস বিভাগে আভেশ খান (২২ উইকেট), কাগিসো রাবাডা, অ্যানরিখ নর্টজেরা স্বস্তিতে থাকতে দিচ্ছেন না বিপক্ষকে।