চেন্নাই সুপার কিংস - ১৫৭/৪
চেন্নাই সুপার কিংস জয়ী ৬ উইকেটে
#শারজা: আরসিবি - র দেওয়ার টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ করল চেন্নাই সুপার কিংস। দুই ওপেনার দু প্লেসি এবং ঋতুরাজ গায়কোয়াড় মিলে ৭১ করে ফেললেন বিনা উইকেটে। এরপর চাহালের বলে ঋতু (৩৮) বিরাটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। দু প্লেসি ৩১ করে ফিরে গেলেন ম্যাক্সওয়েলের বলে। কিন্তু আম্বাতি রাইডু এবং সুরেশ রায়না মিলে দলের রান এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকলেন। রাইডু ৩২ করে আউট হলেন হর্ষল প্যাটেলের বলে।এলেন ধোনি। অন্যদিকে সুরেশ রায়না।
advertisement
উইকেট থেকে টার্ন আদায় করছিলেন হাসারাঙ্গা। তাই চেন্নাই যতটা সহজে রান তুলে দেবে ভেবেছিল, সেটা হল না। কিন্তু অভিজ্ঞ সুরেশ রায়না লঙ্কান স্পিনারকে এক ওভারে একটি বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি মেরে কাজটা সহজ করে দিলেন। এখান থেকে ম্যাচটা চেন্নাই হারবে না জানা ছিল। যে জুটি বহু যুদ্ধ জিতিয়েছে অতীতে, সেই ধোনি এবং রায়না আরও একবার লক্ষ্যে পৌঁছে দিলেন তিনবারের চ্যাম্পিয়নদের। পরপর দুই ম্যাচে হেরে চাপ বাড়ল আরসিবি- র।
নাইট রাইডার্স এর বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ৯২ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল আরসিবি ইনিংস। এই জায়গা থেকে ভাল কিছু করতে গেলে পারফরম্যান্স গ্রাফে উন্নতি করতেই হত। তা ছাড়া উপায় ছিল না। শুক্রবার সেটাই করলেন বিরাট কোহলি এবং তার দলের বাকিরা। ওপেন করতে নেমে বিরাট এবং দেবদত্ত পাড়িক্কাল দুর্দান্ত পার্টনারশিপ গড়লেন। দীপক চাহার, শার্দুল ঠাকুর, রবীন্দ্র জাদেজাদের বিরুদ্ধে দুজন মিলে যথেচ্ছ রান করলেন।
যদিও আবুধাবি এবং দুবাইয়ের মাঠ থেকে শারজা অনেক ছোট, রান বেশি ওঠা স্বাভাবিক, তাতে অবশ্য কৃতিত্ব কমে যায় না কোহলিদের। রান করতে গেলে সব ধরনের উইকেটে যোগ্যতা লাগে। দেখার মত ছিল বিরাটদের সিঙ্গল এবং ডবল নেওয়ার প্রক্রিয়া। ৩৫ বলে অর্ধশতরানে পৌঁছে গেলেন দেবদত্ত। এদিন কিছু দেখার মত শট খেলতে দেখা গেল এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে। এই নিয়ে আইপিএলে তাঁর ষষ্ঠ অর্ধশতরান হল।
অন্যদিকে বিরাট কোহলি চেষ্টা করে গেলেন যত বেশি ওভার খেলা যায়। আসন্ন টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনি ওপেন করবেন রোহিত শর্মার সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত পৌঁছে গেলেন অর্ধশতরানে। এই ইনিংস বিরাটের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে সন্দেহ নেই। শেষ পর্যন্ত ব্রাভোর বলে মারতে গিয়ে জাদেজার হাতে ধরা পড়লেন ৫৩ করে। ওপেনিং পার্টনারশিপ উঠল ১১১ রান।
১৮ ওভারে ধোনি সিরাজের একটি ওভারে দুটি বাউন্ডারি মেরে বুঝিয়ে দিলেন বয়স বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু বুদ্ধি এবং অঙ্ক কষে ম্যাচ বের করার ধার আগের মতই আছে। ম্যাচটা ৬ উইকেটে জিতে নিল হলুদ জার্সিধারীরা। লিগ টেবিলের শীর্ষে উঠে এল ধোনিরা।বিরাট কোহলির দল রয়ে গেল তৃতীয় স্থানে।