আইপিএল-এর জৈব সুরক্ষা বলয়ে ছিলেন এতদিন। বাড়িতে ফিরে বেশিরভাগ সময়েই হাসপাতালে কাটাতে হচ্ছে তাঁকে। কারণ, রজস্থান রয়্যালসের এই বাঁহাতি দোরে বোলারের বাবা কাঞ্জিভাই করোনায় আক্রান্ত হয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “কিছুদিন আগেই রাজস্থান রয়্যালসের থেকে টাকা পেয়ে গিয়েছিলাম। সেটা বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি। কঠিন পরিস্থিতিতে ওটাই সাহায্য করেছে।”
advertisement
যাঁরা আইপিএল বন্ধ করার পক্ষে সওয়াল করছিলেন, তাঁদের একহাত নিয়েছেন সাকারিয়া। বলেছেন, “আমি পরিবারের একমাত্র রোজগেরে। ক্রিকেটই আমার আয়ের একমাত্র পথ। যদি একমাস আইপিএল না চলত তাহলে আমার পক্ষে ব্যাপারটা কঠিন হয়ে যেত। কারণ, আমি দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছি। ক্রিকেটই আমার কাছে একমাত্র সম্বল।” নিলামে তাঁকে ১.২ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছিল রাজস্থান। আস্থার দাম রেখেছেন চেতন।
এ বারের আইপিএল-এ সাত উইকেট নিয়েছেন। যার মধ্যে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির উইকেটও রয়েছে। আপাতত বাবার পাশে দাঁড়াতে চান সবকিছু দিয়ে। তিনি খুশি নিজেকে কিছুটা হলেও প্রমাণ করতে পেরেছেন। মুস্তাফিজুর রহমান, জয়দেব উনাদকট থেকে শুরু করে ক্রিস মরিসদের মত ক্রিকেটারদের সংস্পর্শে এসেছেন। বুঝতে শিখেছেন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ফারাক কতটা। কিন্তু চেতনের দিক থেকে বিচার করলে তিনি ভুল নন।
আজ আইপিএল খেলে কিছুটা টাকা পেয়েছিলেন বলেই অসুস্থ বাবার চিকিৎসা করাতে পারলেন। অদ্ভুত এক কঠিন সময়। আইপিএল যখন একটা শ্রেণীর ক্রিকেটারদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছিল বায়ো বাবল ভেদ হওয়ার পর, তখন অন্যদিকে এই আইপিএলই চেতনের মত অখ্যাত ক্রিকেটারের অক্সিজেন হয়ে দেখা দিল।
