সরকারি নিয়ম মেনে আইপিএলের মাঝপথেই বিরাট কোহলিদের করোনা টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বোর্ড। কিন্তু প্রতিযোগিতা স্থগিত হয়ে যাওয়ায় আপাতত তা থেকে সরে এল বিসিসিআই। ক্রিকেটাররা বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। ব্যক্তিগত উদ্যোগেই তাঁদের ভ্যাকসিন নিতে হবে বলে জানিয়ে দিলেন বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি। মাঝপথে টুর্নামেন্ট স্থগিত হয়ে যাওয়ায় শুধু আর্থিক ক্ষতিই হয়নি, মুখ পুড়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের। কারণ, গতবারও করোনা ছিল। কিন্তু আরব দেশে আইপিএল হয়েছিল সুষ্ঠুভাবে।
advertisement
জৈব সুরক্ষা বলয়ের কড়া নিয়ম মেনে চলেছিলেন ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফরা। এবারও জৈব সুরক্ষা বলয় ছিল। তা সত্ত্বেও একাধিক ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ করোনায় আক্রাম্ত হয়েছেন। বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি বলেছেন, ‘জৈব সুরক্ষা বলয় থাকা সত্ত্বেও ক্রিকেটাররা কীভাবে আক্রান্ত হল, সেটাই বড় প্রশ্ন। তদন্ত করে দেখতে হবে। গতবার আইপিএল হয়েছিল আরব আমিরশাহিতে। মাত্র তিনটি ভেন্যু ছিল। খুব বেশি বিমানযাত্রার প্রয়োজন পড়েনি। তাছাড়া প্রত্যেকেই জৈব সুরক্ষা বলয়ের নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করেছিল। এবার যখন আমরা আইপিএল ভারতে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, তখন দেশে করোনা পরিস্থিতি এতটা খারাপ ছিল না। তাই ছ’টি ভেন্যুতে খেলার ব্যবস্থা করা হয়। এখন মনে হচ্ছে, তিনটি ভেন্যু হলে ভাল হতে। তাহলে বিমানে বারবার যাতায়াত করতে হতে না। সেক্ষেত্রে ক্রিকেটারদের সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকত। কিন্তু কাল কী হবে, কেউ বলতে পারে না। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে টুর্নামেন্ট আর চালিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না।’
কিন্তু আমিরশাহিতে যে কোম্পানি জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করেছিল, তাদের এবার দায়িত্ব দেওয়া হল না কেন? এই প্রসঙ্গে বোর্ড সভাপতি বলেন, ‘ভারতে ওই সংস্থা বৃহৎ আকারে কাজ করে না। তাই চাইলেও ওদের দায়িত্ব দিতে পারিনি। তবে ক্রিকেটাররা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার নেপথ্যে পেশাদারিত্বের অভাব রয়েছে বলে আমার মনে হয় না। এটা এমন একটা ভাইরাস, যা ঠেকানো সহজ নয়। ইংল্যান্ডের মতো দেশেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আমরা দেখেছি। ইপিলের একাধিক ফুটবলার করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।’
সব ঠিক আছে। কিন্তু আইপিএল বাতিল হওয়ার পর যদি দেশের মাটিতে হতে চলা টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপও বাতিল করতে হয়, তাহলে কিন্তু ভারতীয় বোর্ডের সমস্যা বাড়বে। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তাড়াহুড়ো করে নিতে চান না বোর্ড কর্তারা, কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি না হলে বিশ্বকাপ ভারত থেকে সরে যাওয়া সময়ের অপেক্ষা।বোর্ডের দুর্নীতি দমন শাখার প্রধান জুয়াড়িদের মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।