এই প্রশংসাই এখন হর্ষলকে অক্সিজেন দিচ্ছে নিজের সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার জন্য। সাফ জানাচ্ছেন, "আইপিএল খেলছি দীর্ঘদিন। কিন্তু দিল্লির প্রতি সম্মান রেখেই বলছি আমার সঙ্গে সঠিক ব্যবহার করা হয়নি। যেভাবে উপেক্ষা করা হয়েছিল সেটা অপমানজনক। আরসিবি দল আমাকে নেওয়ায় স্বপ্ন সার্থক হয়েছে। নিজের সেরাটা উজাড় করে দেব। বিরাট কোহলি, এ বি ডি ভিলিয়ার্স, ম্যাক্সওয়েলদের মত বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে নেটে বল করা দারুণ ব্যাপার। বলতে পারেন নেটে সেরা ব্যাটসম্যানদের বল করার ফলে নিজের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে"।
advertisement
নিজের প্রাক্তন দল সম্পর্কে তিনি জানিয়েছেন দিল্লির বোলিং লাইন আপে রাবাডা এবং নোখিয়া থাকার ফলে খুব বেশি সুযোগ পাবেন না জানতেন। সঙ্গে রয়েছেন ইশান্ত এবং উমেশ যাদব। তাই আরসিবি দলে বল করার সুযোগ বেশি পাওয়া যাবে সেটা তিনি নিশ্চিত। পাশাপাশি তিনি মনে করেন অনুশীলন এবং প্রস্তুতি ম্যাচে একজন বোলার কতটা ধারাবাহিকতা দেখাচ্ছে, সেদিকেই এই মুহূর্তে নজর রাখছে বেশিরভাগ দল। আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিসংখ্যান ততটা বিচার্য নয়। এই মুহুর্তে একজন কম বিখ্যাত বোলারের ওপর ভরসা রাখছেন অধিনায়ক। এর ফলে বোলার হিসেবে আত্মবিশ্বাস এবং মানসিক কাঠিন্য অনেক বেড়ে গিয়েছে মনে করেন হর্ষল।
ডেথ ওভারে নিয়ন্ত্রিত বোলিং সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ টি টোয়েন্টিতে। সেখানে এক ইঞ্চির ভুল শেষ করে দিতে পারে দলের যাবতীয় প্ল্যানিং। তাই সঠিক জায়গায় বল রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তরুণ হর্ষল বলছেন তিনি বাস্তবটা জানেন। প্রথম ম্যাচে দিন ভাল গিয়েছে মানে এমন গ্যারান্টি নেই পরের ম্যাচে তিনি সফল হবেন। কিন্তু ফোকাস ধরে রাখতে পারলে এবং পরিশ্রম করতে পারলে সাফল্যের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায় বলছেন তিনি।
অধিনায়ক হিসেবে বিরাট কোহলির সমর্থন তাঁকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে বলছেন হর্ষল। শুধু বল করা নয়, ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে উন্নত করার চেষ্টা করেছেন শেষ কয়েক মাস। নেটে আলাদা জোর দিচ্ছেন ব্যাটিংয়ে। বল করার পাশাপাশি প্রয়োজনে ব্যাট হাতেও দলকে সাহায্য করাই লক্ষ্য জানাচ্ছেন বিরাট কোহলির নতুন তুরুপের তাস।
