সামনে থেকে ব্যাট হাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন শিখর। পন্থ মনে করেন ধাওয়ান শুধু একজন বড় ব্যাটসম্যান শুধু নন, একজন বিরাট মনের মানুষ। বয়সে অনেক জুনিয়র ঋষভ পন্থ অধিনায়ক হলেও ধাওয়ানের কিন্তু ইগো সমস্যা নেই। পন্থ জানিয়েছেন প্রয়োজন হলে ধাওয়ান, অশ্বিনদের মত সিনিয়রদের থেকে তিনি পরামর্শ নেন। দলের প্রয়োজনে যেভাবে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করছেন শিখর সেটা প্রশংসা করার মত। যেভাবে প্রথমে কিছুটা সময় নিয়ে তারপর হাত খুলছেন এবং ম্যাচ শেষ করে আসার চেষ্টা করছেন ধাওয়ান, সেটা দেখে দলের বাকিরা উদ্বুদ্ধ হবেন মনে করেন নতুন অধিনায়ক।
advertisement
রবিবার রাতে সর্বোচ্চ রান করে কমলা টুপি পেয়েছিলেন শিখর ধাওয়ান। ম্যাচ শেষে দিল্লির ওপেনার জানিয়েছেন দীর্ঘদিন ক্রিকেট খেলার ফলে এখন আর চাপ অনুভব করেন না। নিজেকে যতটা সম্ভব হালকা রেখে মাঠে খেলাটা উপভোগ করার চেষ্টা করেন। তাতেই মিলছে সাফল্য। সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে শুধু নামে নয়, পারফর্ম করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। ধাওয়ানের সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট দুদিকেই তিনি সমান দক্ষতার সঙ্গে শট খেলছেন। বেশ কিছু শট নতুন আবিষ্কার করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
সিনিয়র হিসেবে তরুণ অধিনায়ক পন্থকে সব সময় সাহায্য করতে তৈরি তিনি। ঋষভ পন্থ বলছেন ধাওয়ানকে দেখে তিনি নিজেও উদ্বুদ্ধ করছেন আরও ভাল পারফর্ম করার জন্য। শিখর ধাওয়ান একজন পারফেক্ট টিম ম্যান। পরিস্থিতি অনুকূলে হোক, বা প্রতিকূল, কোনও অবস্থাতেই হাল ছাড়েন না। টপ অর্ডারে এই ধারাবাহিকতা শিখর বজায় রাখতে পারলে আগামীদিনে দিল্লির কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে। পাশাপাশি তরুণ পন্থ গত কয়েক মাস ধরে দেশের জার্সিতে যেভাবে অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পারফর্ম করেছেন তা সফল হবে অধিনায়ক হিসেবে আইপিএলে তিনি যদি সফল হন।
গতবার ফাইনালে উঠেও চ্যাম্পিয়ন হওয়া যায়নি। এবার তাই ট্রফি জয়ের স্বপ্ন প্রথম থেকেই দেখছে দিল্লি ক্যাপিটালস। অস্ট্রেলিয়া সফর ঋষভ পন্থকে পাল্টে দিয়েছে। আগে ব্যাট করতে এসেই বড় শট খেলার লোভ সামলাতে না পেরে তাড়াতাড়ি আউট হয়ে ফিরে যেতেন। কিন্তু নিজের উইকেটের মুল্য বুঝতে শিখেছে পন্থ। স্পষ্ট করে বললে দায়িত্বশীল ক্রিকেটার হয়ে উঠেছেন। আইপিএল সুযোগ দিয়েছে অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করার। সেই লক্ষ্যে ঋষভ কতটা সফল হন উত্তর দেবে সময়।
