আইপিএলে খেলতে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হল কেন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন," ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্ট ক্রিকেট খেলাই ছিল আমার প্রাথমিক লক্ষ্য। কিন্তু ইংল্যান্ডে ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু হওয়ার সময় আইপিএল চলে। তাই একই সঙ্গে দুটো টুর্নামেন্ট চলার ফলে আইপিএল খেলা হয়নি। এবার তাই ভীষণ উচ্ছ্বসিত "। পঞ্জাব দলের জার্সিতে কত নম্বরে ব্যাট করবেন? মালান মনে করেন দেশের হয়ে তিন নম্বরে ব্যাট করলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশিরভাগ ওপেন করেছেন তিনি। তাই পছন্দের জায়গা ওপেনিং অথবা তিন নম্বর। কিন্তু দলের প্রয়োজনে যদি মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে হয় তাতেও রাজি।
advertisement
আসল লক্ষ্য রান করে দলকে সাহায্য করা। এই প্রথম আইপিএল খেলবেন বলে জস বাটলার, বেন স্টোকস, ইয়ন মর্গ্যানদের থেকে টিপস নিয়েছেন। পঞ্জাব বলে অধিনায়ক কে এল রাহুল সম্পর্কেও বেশ উচ্ছ্বসিত এই ইংলিশ ক্রিকেটার। রাহুল দারুণ স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান নন শুধু, তাঁর হাতে দুর্দান্ত সব শট দেখে মালান নিশ্চিত এবার আইপিএলে ঝড় উঠবে পঞ্জাব অধিনায়কের ব্যাটে। যদি রাহুলের সঙ্গে ওপেন করার সুযোগ আসে তাহলে প্রস্তুতি তিনি। অধিকাংশ দল ডানহাতি এবং বাঁহাতি ওপেনিং জুটি পছন্দ করে। সেক্ষেত্রে রাহুল - মালান জুটি বড় অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে প্রীতি জিন্টার দলের।
প্রথম ৬ ওভার পাওয়ার প্লের সুবিধা দারুণভাবে কাজে লাগাতে পারেন এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান। শক্তি নয়, তাঁর খেলা টাইমিং নির্ভর। অফ এবং অন, দুদিকেই তিনি সমান দক্ষ। তবে নিজের এক নম্বর পজিশন নিয়ে বেশি ভাবতে রাজি নন। তিনি মনে করেন রান করতে পারলে পজিশন বজায় থাকবে, না পারলে থাকবে না। কিন্তু ব্যাট করার সময় পজিশনের কথা চিন্তা করলে নিজের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারবেন না। অতিরিক্ত চাপ মাথায় চলে আসবে।
তিনি শুনেছেন এবার যথেষ্ট ভারসাম্য যুক্ত দল গড়েছে পঞ্জাব। একাধিক তারকা ক্রিকেটার রয়েছে দলে। মালান মনে করেন কাগজে কলমে নয়, ভারসাম্য প্রমাণ করতে হবে মাঠে নেমে। আপাতত অনুশীলনে নিজেকে তৈরি করে নিতে চান। সাধারণত দেখা যায় প্রথমদিকে একটু ধরে খেলে, শেষদিকে রান তুলতে পছন্দ করেন তিনি। চট করে উইকেট দেন না। পঞ্জাবের হয় দীর্ঘক্ষন ব্যাট করে দলের ব্যাটিং লাইনআপকে বড় স্কোর তোলায় সাহায্য করতে চান তিনি। ফাস্ট বোলার এবং স্পিনার দুটো ক্ষেত্রেই সমান স্বচ্ছন্দ তিনি। কিন্তু পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে ফ্র্যাঞ্চাইজিকে কতটা সাহায্য করতে পারলেন ,সেটা দিয়েই নিজের মাপকাঠি বিচার করতে চান মালান।