তবুও গত বছর টুর্নামেন্ট শেষ করা গিয়েছিল আরবে। কিন্তু এবার মাঝপথেই বাতিল করতে হল। ৬০ টি ম্যাচের ভেতর হয়েছিল মাত্র ২৯ টি ম্যাচ। অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিসিসিআই কর্তা জানিয়েছেন আইপিএল বন্ধ হওয়ার কারণ বিশাল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বোর্ডকে। আসল টাকাটা আসে সম্প্রচারকারী চ্যানেলের তরফ থেকে। ওই চ্যানেলের সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি ভারতীয় বোর্ডের। প্রতি বছর আনুমানিক ৩২০০ কোটি আয় হয় ওই চ্যানেলের থেকে।
advertisement
এছাড়াও টাইটেল স্পন্সর এবং একাধিক অ্যাসোসিয়েট স্পন্সর মিলিয়ে একটা মোটা অঙ্কের টাকা ঘরে আসে বিসিসিআইয়ের। পুরো টুনামেন্ট হলে যে পরিমাণ লাভ হয়, এই অবস্থায় ক্ষতির পরিমাণ ২২০০ কোটি টাকা। ওই কর্তা জানিয়েছেন সব স্পনসর প্রায় অর্ধেক, বা তার কিছু কম টাকা দেবে। তার ওপর বিদেশি ক্রিকেটারদের জন্য একাধিক চার্টার্ড বিমানের ব্যবস্থা করতে হবে।
ক্রিকেটারদের ভারতে অতিরিক্ত থাকার দায়িত্ব ফ্র্যাঞ্চাইজি বহন করলেও দেশে ফেরার খরচ বহন করতে হবে বিসিসিআইকে। তাই দেরীতে হলেও, বোর্ড বুঝতে পারছে এবছর টুর্নামেন্ট করার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল না। আবার এর পেছনে অনেকে নিখুঁত অঙ্ক দেখতে পাচ্ছেন। বোর্ড ভাল করেই জানত অন্তত অর্ধেক খেলা করাতে পারলে অর্ধেক টাকা আসবে। তাই ঠিক মাঝামাঝি এই সিদ্ধান্ত।
