#দুবাই: টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পঞ্জাব অধিনায়ক কে এল রাহুল। পিচ হালকা ঘাস থাকার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। এমনিতে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই ছিল এই ম্যাচটা। রাজস্থানের দুই ওপেনার লুইস এবং যশস্বী জয়সওয়াল দুর্দান্ত শুরু করলেন। প্রথম উইকেট পড়ল ৫৪ রানের মাথায়। ৩৬ রান করে আর্শদীপ সিং এর বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন লুইস। যতক্ষণ ছিলেন পাঞ্জাবের রক্তচাপ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
advertisement
আইপিএলের প্রথম পর্বে যশস্বী সেভাবে কিছু করতে পারেননি। কিন্তু নিজের সেরা ইনিংস খেললেন। বুদ্ধি করে ইনিংস সাজালেন। কিন্তু ভাগ্য খারাপ, অল্পের জন্য অর্ধশতরান হাতছাড়া করলেন। থেমে যেতে হল ৪৯ রানে। সঙ্গে ছিলেন লিভিংস্টোন। টি টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই মুহূর্তে ইংল্যান্ডের অন্যতম ভরসা তিনি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৪২ বলে শতরান করেছিলেন। এদিন ফিরে গেলেন ২৫ রান করে। নিলেন সেই আর্শদীপ। দুর্দান্ত ক্যাচ ধরলেন আলিয়েন।
রিয়ান পরাগ এবং মহিপাল লোমরোর চেষ্টা করে গেলেন রান বাড়ানোর। আদিল রশিদকে এক ওভারে দুটি ছক্কা মারলেন লোমরোর। দীপক হুদাকেও যথেচ্ছ পেটালেন। কিন্তু রিয়ান পরাগ ব্যর্থ। ফিরে গেলেন মাত্র ৪ রান করে। এলেন রাহুল তেওয়াটিয়া। দুই বাহাতি মিলে চেষ্টা করলেন দলের রান ২০০ পার করার। শামি দুরন্ত লাইন লেন্থের বল করলেন। মহিপাল মারতে গিয়ে ফিরে গেলেন আর্শদীপের বলে। তবে তার ৪২ রানের ইনিংস দলকে শক্তি দিল। আর্শদীপ বুদ্ধি করে বল করে পেলেন তিনটি উইকেট।
একদম শেষ দিকে ১৬:৫০ কোটির ক্রিস মরিস এবং রাহুল তেওয়াটিয়া চালিয়ে খেলার চেষ্টা করলেন। কিন্তু সেই শামির বলে বোল্ড হলেন তেওয়াটিয়া। আরো একবার ডেথ ওভারে নিজের অভিজ্ঞতার পরিচয় দিলেন শামি। মরিস তুলে মারতে গিয়ে আউট হয়ে গেলেন ৫ করে। উইকেট নিলেন শামি। শেষ ওভারে আর্শদিপ দুর্দান্ত বল করলেন।চেতনকে আউট করে চার নম্বর উইকেট নিলেন।পঞ্চম উইকেট নিলেন ত্যাগীকে বোল্ড করে। দুশো পৌঁছতে না পারলেও রাজস্থানের এই রান যথেষ্ট লড়াই করার মত।