গিল খাতা না খুলেই ফিরে গেলেন। রানা, ত্রিপাঠি এবং অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান স্বয়ং ব্যর্থ। একটা সময় যখন মনে হচ্ছিল লজ্জা ঢাকার জায়গা খুঁজে পাবে না শাহরুখ খানের দল, তখন জ্বলে উঠলেন আন্দ্রে রাসেল। শেষ ম্যাচে আরসিবি দলের বিরুদ্ধে কিছুটা ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এদিন সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন কেকেআর ব্যাটিংকে।
advertisement
২২ বলে ৫৪ রানের ইনিংস সাজানো ছিল তিনটি বাউন্ডারি এবং হাফ ডজন ওভার বাউন্ডারি দিয়ে। হঠাৎ করে অসম্ভব কাজ সম্ভব মনে হতে শুরু করেছিল। বহুদিন পর চেনা মেজাজে দেখা যাচ্ছিল রাসেলকে। সামান্য সময়ের জন্য হলেও মহেন্দ্র সিং ধোনির কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা গিয়েছিল।
কিন্তু ভাগ্য খারাপ ক্যারিবিয়ান তারকার। স্যাম কারানের লেগ স্টাম্পের বাইরে পড়া বলটা জাজমেন্ট দিতে গেলেন। ভেতরে ঢুকে এসে উইকেট নাড়িয়ে দিয়ে গেল বলটা। এখানেই শেষ হয়ে গেল নাইট রাইডার্স দলের যাবতীয় প্রতিরোধ। এরপর দীনেশ কার্তিক এবং প্যাট কামিন্স কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করলেন। কিন্তু রাসেল থাকলে যেটা সম্ভব হত, সেটা এই দুজনকে দিয়ে হবে না জানা ছিল। দিনের শেষে আবার একটা ব্যর্থতা। আবার একটা হার।
কিন্তু ক্রিকেট পণ্ডিতরা বলেন খারাপের মধ্যেও ভাল খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে হয়। সে দিক থেকে দেখতে গেলে আজকের ম্যাচে রাসেলের লড়াই ছাড়া নাইট রাইডার্স দলের পক্ষে প্রাপ্তির ভাঁড়ার শূন্য। ক্যারিবিয়ান তারকা এই ফর্ম ধরে রাখতে পারলে কেকেআর হয়তো কিছুটা লড়াই করবে পরবর্তী ম্যাচ গুলোতে। কিন্তু জেতার দুনিয়া থেকে আপাতত কয়েক আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে দলটা। দায় এড়াতে পারেন না স্বয়ং অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। এই দলের ভবিষ্যৎ বলতে কিছু নেই সেটা বোঝার জন্য ক্রিকেট পন্ডিত হওয়ার দরকার নেই।প্যাট কামিন্স ৬৫ রানের লড়াকু ইনিংস উপহার দিলেন, কিন্তু সেটা যথেষ্ট ছিল না।
