মুম্বই ইন্ডিয়ান্স-এর ক্রিকেটার আদিত্য তারে এদিন অর্জুন টেন্ডুলকারের হোটেলের লকারের তল্লাশি চালিয়েছেন। গত আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলে যোগ দিয়েছেন সচিন টেন্ডুলকারের পুত্র। তবে এখনো পর্যন্ত মুম্বইয়ের হয়ে তঁর অভিষেক হয়নি। ইতিমধ্যে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সবার সঙ্গে মিলেমিশে গিয়েছেন অর্জুন। শুক্রবার অর্জুনের ২২ তম জন্মদিন ছিল। আর এমন দিনে আদিত্য তারে তাঁর হোটেল রুমের লকারে সারপ্রাইজ তল্লাশি চালান।
advertisement
সতীর্থ আদিত্য তারে এদিন অর্জুনের লকার রুমে তল্লাশি চালিয়ে নিজেই অবাক হয়ে যান। তিনি ভাবতেও পারেননি, লকারে কেউ এমন সব জিনিস রাখতে পারে। অর্জুন তেন্ডুলকরের লকারে টাকা-পয়সা, গয়নাগাটি কিছুই ছিল না। বরং তার পরিবর্তে অর্জুন সেখানে লুকিয়ে রেখেছিলেন ম্যাগি মশালা, মশলা বাদাম ও মশাদা ওটস। যা দেখে আদিত্য তারে নিজেই অবাক হয়ে যান। আসলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সতীর্থ ক্রিকেটারদের থেকে খাবারের জিনিসপত্র লুকিয়ে রাখার জন্যই অর্জুন ম্যাগি মশালা, মসালাদার ওটস ও মশলা বাদাম লকারে লুকিয়ে রেখেছিলেন।
আরও পড়ুন- চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সি পড়তে পড়তে ক্রিকেটে, সৌরভ-রজনীকান্তের ভক্ত ভেঙ্কটেশ
অর্জুন নিজেই জানিয়েছেন, এর আগে মুম্বইয়ের সতীর্থরা তাঁর সেই সব খাবার খেয়ে সব শেষ করে দিয়েছিল। তাই এখন তিনি আর সেগুলি নিজের ব্যাগে বা ঘরের যেখানে-সেখানে রাখেন না। বরং লুকিয়ে রাখেন হোটের রুমের লকারে। যাতে কেউ আর খুঁজে না পায়।
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স-এর তরফে একটি পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিও পোস্টে অর্জুন বলছেন, ''হোটেলে আমার ঘরে কিছু রত্ন লুকানো রয়েছে। ডিম ভুজিয়ার সঙ্গে এই ম্যাগি মশালা মিশিয়ে দিলে দারুণ খেতে লাগে। এছাড়া সবজির সঙ্গে ম্যাগি মশালা মিশিয়ে দেওয়া যায়। তবে সবজির সঙ্গে মেশানোটা আমার ঠিক পছন্দ নয়। অনেক সময় হোটেলে রুম সার্ভিসে খাবার দিতে দেরি করে। তখন মশলা ওটস আমার খুব কাজে লাগে। তাছাড়া মশলা বাদাম না নিয়ে আমি সাধারণত কোথাও যাই না। ওটা ছাড়া আমার চলে না।''