আরও পড়ুন-বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক কি ধর্ষণ? জানুন কি জানাল কেরল আদালত
দুই সন্তানের জননী দিমিত্তির আগে থেকে কোনও ধারণাই ছিল না যে তিনি গর্ভবতী। দিমিত্তি এবং তাঁর স্বামী জেসন দুই সন্তানের পরে তাঁদের পরিবারে আরও এক সন্তান আনার কথা ভাবেননিও। দিমিত্তিরও এই বিষয়ে কোনও রকম ধারণাই ছিল না। একদিন হঠাৎই তিনি স্নান করতে গিয়ে পেটে প্রবল ব্যথা অনুভব করেন। হঠাৎ তারঁ পেটে মোচড় দেওয়ার মতো ব্যথা হয় এবং এরপর কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি শিশুর মাথা তাঁর পায়ের মাঝখানে দুলতে দেখা যায়। দিমিত্তি সঙ্গে সঙ্গে তাঁর স্বামীকে ডেকে নিয়ে এলে সেখানেই তাঁদের তৃতীয় সন্তান জন্ম নেয়।
advertisement
আরও পড়ুন-গায়ের ওপর আচমকা টিকটিকির লাফ! শরীরের কোন অংশে টিকটিকি পড়লে কী হয়?
দিমিত্তি তাঁর গর্ভাবস্থার কথা বিন্দুমাত্রও জানতেন না। এই পুরো সময়টায় তাঁর মেনস্ট্রুয়েশনও বন্ধ হয়নি। কিছু সময় পরে সন্দেহ হওয়াতে তিনি তিনি প্রেগনেন্সি টেস্ট করান এবং তার রিপোর্টও নেগেটিভ আসে। এমনকী যেদিন এই ঘটনা ঘটে সেদিনও সকালে টেস্টের ফল নেতিবাচক ছিল। এরপর আচমকা সন্তানের জন্ম স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই অবাক করে দেয়। দিমিত্তি যখন সন্তানের জন্ম দেন তখন তাঁর স্বামী ঘুমোচ্ছিলেন। স্ত্রীর ডাকে বাথরুমে পৌঁছলে দিমিত্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় সন্তানসহ দেখতে পান।
দিমিতি এই গর্ভাবস্থাকে সম্পূর্ণ বিস্ময়কর ঘটনা বলেই বর্ণনা করেছেন। এই সময়ে তাঁর ওজন কিছুটা বাড়লেও সেটাকে তিনি খুব একটা পাত্তা দেননি। তিনি ভেবেছিলেন লকডাউনে সামান্য ভারী হয়েছে শরীর। এ ছাড়াও মাসখানেক আগে রাগবি খেলতে গিয়ে চোটও পেয়েছিলেন তিনি। সে সময়ে চেকআপ করাতে গিয়েও তাঁর গর্ভাবস্থা ধরা পড়েনি। যাই হোক, শেষ পর্যন্ত ওই শিশুর জন্মের পর দিমিত্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, সেখানে মা ও শিশু দু'জনেই এখন সুস্থ রয়েছে।