এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে বেজিং, তবে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, এটি বৈধ রুটিন কার্যক্রম, মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছে, ;মুক্ত এবং উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক' ধারণার প্রতি মার্কিন বাহিনী প্রতিশ্রুতি দেখিয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, বেজিংয়ের হুমকি উপেক্ষা করে গত কয়েক বছর ধরে স্পর্শকাতর তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে যাতায়াত করছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র ব্রিটেন, কানাডার মতো দেশগুলোর জাহাজ।
advertisement
এতে চিন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে, পশ্চিম দেশের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের তাইওয়ান সফরের বিষয়টিও ভালোভাবে নেয়নি বেজিং। এ পরিস্থিতির মধ্যে নতুন করে তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে মার্কিন রণতরী যাওয়ার প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আরলেই বার্ক-শ্রেণির গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী চুং-হুন প্রণালী দিয়ে অতিক্রম করে।
ওয়াশিংটনে নিযুক্ত চিনের দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেঙ্গুয়ে এক বিবৃতিতে কড়া ভাষায় এর বিরোধিতা করে বলেছেন, চিন স্পষ্টভাবে এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে, তাইওয়ান প্রণালীজুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট বন্ধ করতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরো বলেন, মার্কিন রণতরীগুলো নৌ চলাচলে স্বাধীন অনুশীলনের নাম করে প্রায়ই শক্তি প্রদর্শন করে।
চিন সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করবে এবং যেকোনও ধরনের হুমকি ও উসকানির প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত আছে, নিজ দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা দৃঢ়ভাবে রক্ষা করবে বেজিং। তবে চিনের হুমকি পাত্তা দিতে নারাজ আমেরিকা এবং তাইওয়ান। বিশাল সেনাবাহিনী এবং টেকনোলজি থাকলেও চিন তাইওয়ান দখলের চেষ্টায় নামলে, বেজিংকে বিশাল মূল্য দিতে হবে পরিষ্কার করে দিয়েছে আমেরিকা।