কিন্তু পোষ্য কুকুর শরীরে চেটে দেওয়ায় কেন মৃত্যু হল ওই বৃদ্ধার? জানা গিয়েছে, জুন নেক্সটার নামে ওই মহিলা গত ২৯ জুন নিজের বাড়িতেই কমোড ব্যবহার করতে গিয়ে পায়ে আঘাত পান৷ সেই ক্ষতস্থানেই চেটে দিয়েছিল তাঁর নাতনির পোষ্য ওই কুকুরটি৷
ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছে, প্যাস্টেরুলা মাল্টুসিডা নামে গৃহপালিত প্রাণীদের মুখে থাকা একটি বিশেষ ধরনের ব্যাক্টেরিয়া থেকেই ওই মহিলার ক্ষতস্থানে সংক্রমণ ছড়িয়ে যায়৷ শারীরিক ভাবে আগে থেকেই দুর্বল থাকায় ওই বৃদ্ধার শরীরে সংক্রমণ আরও দ্রুত ছড়ায় বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা৷
advertisement
প্রাথমিক ভাবে বাড়িতেই ওই মহিলার ক্ষতস্থানের শুশ্রুষা করা হয়েছিল৷ ক্ষতস্থানে ড্রেসিংও করা হয়৷ কিন্তু তার পরেও ওই বৃদ্ধার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকায় পরের দিন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ এর পর রক্ত পরীক্ষায় ওই মহিলার শরীরে প্যাস্টেরুলা মাল্টুসিডা নামে ওই ব্যাক্টেরিয়ার উপস্থিতির প্রমাণ মেলে৷ চিকিৎসা শুরু হলেও সেপসিসে আক্রান্ত হন তিনি৷ শেষ পর্যন্ত গত ৭ জুলাই মৃত্যু হয় ওই মহিলার৷
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই মহিলা আগে থেকেই শারীরিক বেশ কিছু সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন৷ কি়ডনি, লিভার এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যা ছিল তাঁর৷
জানা গিয়েছে, গত ২৯ জুন পায়ে আঘাত পাওয়ার পর ওই বৃদ্ধার নাতনিই প্রথম তাঁর কাছে এসেছিলেন৷ তখনই ওই খোলা ক্ষতস্থানে চেটে দেয় বৃদ্ধার নাতনির পোষ্য সারমেয়টি৷ যা থেকে পরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে বৃদ্ধার শরীরে৷