সম্প্রতি বান্দারবন থেকে ঘুরে এসে নিজের ফেসবুক পেজে ছবি পোস্ট করেন নোবেল। দেখা যায়, নোবেল তাঁর এক বান্ধবীর সঙ্গে বসে মাদক সেবন করছেন। তাই নোবেলের বিরুদ্ধে রয়েছে পরকীয়ারও অভিযোগ। সেই ছবির ক্যাপশনে নোবেল লিখেছিলেন, গাঁজার নৌকা পাহাড়তলী যায় ও মিরাবই। এই ছবি পোস্ট হতেই নেটিজেনরা তাঁর প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন।
advertisement
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে, বান্দারবনে বেড়াতে গিয়ে ওই মহিলাকে স্ত্রী বলে পরিচয় দেন নোবেল। এর পরেই সেখানে ঘুরে বেড়িয়ে নানা রকমের অশালীন আচরণ করেছেন নোবেল। কখনও চিৎকার চেঁচামেচি, কখনও মাদর সেবন করেছেন। হোটেলেও প্রায় মধ্যরাতে তিনি খুব অভব্য আচরণ করেছেন। এমনকি অন্য পর্যটকরা প্রতিবাদ জানাতে এলে তাঁদের মারধর ও গালিগালাজ করেছেন বলে জানা যাচ্ছে।
ঘটনা জানতে পেরে রেগে গিয়েছেন নোবেলের স্ত্রী মেহরুবা সালসাবিল মাহমুদও। তিনি একটি ফেসবুক পোস্ট শেয়ার করেছেন। সেই পোস্টে লেখা, "ব্যাপারটা আপনারা কিভাবে নিচ্ছেন জানিনা কিন্তু এটি পর্যটন এলাকার জন্য চরম অপমানজনক ।রেমাক্রিতে গাজা সেবনের ছবি আপলোড করার পর শহরে এসে নোবেল মাতলামি করে হোটেলে ভাংচুর করে। ট্যুরিস্টদের উপর হামলা করে এবং মালিককেও মারধর করে এসব করার পরও প্রশাসন নিশ্চুপ। কিছুক্ষণ আগেও হোটেলে এসে ভাংচুর করার পরও পায়ের উপর পা রেখে বসে আছেন আমাদের দাদা। আমরা বান্দরবানবাসী কি এতোই পাওয়ারলেস? কেউ নাই ব্যবস্থা নেয়ার মতো?"
নিজেও পর পর স্টেটাস দিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নোবেলের স্ত্রী। এক জায়গায় তিনি লিখছেন, "ইদানীংকাল মেয়েরা বিবাহিত ছেলেদের সাথে বান্দরবন যেতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোদ করে ।" আর একটি লম্বা স্টেটাসে তিনি নোবেলের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ না করায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
তিনি লিখছেন, "অনুগ্রহপূর্বক বাংলাদেশ পুলিশবাহীনি যেন আজ থেকে কোনো নেশাগ্রস্থ স্টুডেন্ট বা ব্যাক্তিকে গ্রেফতার না করে অথবা শাস্তি না দেয় । আমাদের দেশের ইনফ্লুয়েন্সাররা যেখানে নিজেদের নেশাগ্রস্থ ছবি আপলোড করে এটাকে একটি ট্রেন্ডে পরিণত করেছে এবং বাংলাদেশ প্রশাসন এ বিষয়ে কিছু করতে অক্ষম সেখানে অন্য জনগণদের নেশা এবং মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত বিষয়ে হেনস্ত করার অধিকার বাংলাদেশ পুলিশবাহীনি আর রাখে না। এমন একটি দেশে জন্মগ্রহণ করে সত্যি আমি লজ্জিত যে দেশে নারী নির্যাতন ছেলে মানুষের পুরুষত্ প্রমাণের মাপকাঠি ।"