৯ জন বিক্ষোভকারীর যে মৃত্যু হয়েছে, তা ইতিমধ্যেই স্বীকার করে নিয়েছে নেপাল পুলিশ৷ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪২ জন৷ এখনও পর্যন্ত মৃত এবং আহতদের পরিচয়ও পাওয়া যায়নি৷
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ সহ অন্যান্য একাধিক সমাজমাধ্যমকে নিষিদ্ধ করেছে নেপাল সরকার৷ এরই প্রতিবাদে পথে নেমেছে মানুষ৷ বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ সহ সমাজমাধ্যমের উপরে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে কাঠমান্ডুতে মানুষ ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু করেন, যা হিংসাত্মক রূপ নেয়, যার জেরে ৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন৷
advertisement
দামাক চক এলাকায় পুরসভার একটি অফিসের গেট ভেঙে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা৷ নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি-র কুশপুতুলও পোড়ানো হয়৷ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জল কামান, টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করার পাশাপাশি রবার বুলেটও ছোড়ে পুলিশ৷
গত সপ্তাহেই ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রামের মতো সমাজমাধ্যমগুলিকে নিষিদ্ধ করে নেপালের তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রক৷ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নেপাল সরকারের কাছে নথিভুক্তি না করানোয় অভিযোগে এই নির্দেশ জারি করা হয়৷ সরকারের এই সিদ্ধান্তের পক্ষে প্রকাশ্যেই সওয়াল করেছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলি৷ তিনি দাবি করেছিলেন, দেশের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে এবং বেকারত্ব কমাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ যদিও সরকারের এই সিদ্ধান্তকে একেবারেই ভালভাবে নেয়নি যুবসমাজ৷