ট্রাম্প তাঁর নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম সোশ্যাল ট্রুথ-এ লেখেন:
“মুখোশ পরা লোকজনকে এখনই গ্রেফতার করো!” তিনি আরও বলেন, “এখন থেকে বিক্ষোভে মুখোশ পরা যাবে না“—যদিও এই বিষয়ে ফেডারেল সরকারের আসলেই আদেশ জারি করার আইনগত ক্ষমতা রয়েছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
জলে থাকে না এই ‘মাছ’! জল স্পর্শ না করেই পার হয়ে যায় মরুভূমি…একের পর এক দেশ! জানেন কোন মাছ?
advertisement
বিক্ষোভকারীরা মুখোশ পরছেন মূলত পুলিশের চিহ্নিতকরণ থেকে বাঁচতে এবং আতশবাজি ও পুলিশের ছোঁড়া গ্যাসের ধোঁয়া থেকে নিজেদের রক্ষা করতে।
রবিবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্যালিফোর্নিয়ার ন্যাশনাল গার্ড বাহিনীকে রাস্তায় নামিয়ে দেন, যদিও ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাটিক গভর্নর গ্যাভিন নিউজম এই মোতায়েনকে অবৈধ বলে উল্লেখ করেন।
ন্যাশনাল গার্ড সেনারা লস অ্যাঞ্জেলসের বিভিন্ন ফেডারেল দফতরের সামনে মোতায়েন হয়, যখন শহরের বিভিন্ন প্রান্তে গাড়ি জ্বালানো এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি চলতে থাকে।
লাতিনো-জনসংখ্যা ঘন শহর লস অ্যাঞ্জেলসে শুক্রবার শুরু হয় এই আন্দোলন, যার পেছনে ছিল একাধিক ফেডারেল অভিবাসন অভিযান। পুলিশের অভিযোগ, কিছু বিক্ষোভকারী ইট, বোতল ও অন্যান্য বস্তু ছুঁড়ে মেরেছে পুলিশকে লক্ষ্য করে।
রবিবার সন্ধ্যায় শহরের ডাউনটাউন এলাকায় Alphabet-এর Waymo নামক স্বচালিত গাড়িগুলোকেও আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা—ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে সেই দৃশ্য।
লস অ্যাঞ্জেলস পুলিশ এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জানায়, “গ্রেফতার অভিযান শুরু হয়েছে।” তারা আরও জানায়, ভিড় সামাল দিতে ঘোড়সওয়ার পুলিশ নামানো হয়েছে।
অন্যদিকে গভর্নর গ্যাভিন নিউজম অভিযোগ করেছেন, ট্রাম্প মেরিন সেনা নামানোর হুমকি দিয়ে পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছেন।
এক্স-এ দেওয়া পোস্টে নিউজম বলেন:
“লস অ্যাঞ্জেলসে ইতিমধ্যেই LAPD বিক্ষোভ সামাল দিচ্ছে, তার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মেরিন মোতায়েনের হুমকি দিচ্ছেন। এটাই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে।” তিনি আরও লেখেন: “লস অ্যাঞ্জেলস, শান্ত থাকো। উগ্রপন্থীদের ফাঁদে পা দিও না।”