TRENDING:

Iran Israel Relationship: শত্রু নয়, এক সময় পরম বন্ধু ছিল ইরান এবং ইজরায়েল! কবে, কীভাবে ভাঙন ধরল সম্পর্কে?

Last Updated:

১৯৪৮ সালে পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে ইজরায়েল আত্মপ্রকাশ করার পর পশ্চিম এশিয়ার অধিকাংশ মুসলিম প্রধান দেশই ইজরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে রাজি হয়নি৷ ব্যতিক্রম শিয়া প্রধান ইরান এবং তুরস্ক৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে পাঁচ দিন ধরে চলছে ধুন্ধুমার লড়াই৷ উত্তেজনা প্রশমনের কোনও লক্ষণ দেখাচ্ছে না কোনও দেশই৷ বরং পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ ইজরায়েল তো বটেই, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও শাসানি দিয়ে রেখেছেন ইরানকে৷ তেহরান ছেড়ে পালাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ৷ ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হুঙ্কার দিয়ে রেখেছেন, একমাত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেইনির মৃত্যু হলেই এই সংঘাত বন্ধ হবে৷
News18
News18
advertisement

তবে সাম্প্রতিক সময়ে যা ঘটে যাক না কেন, ইরান এবং ইজরায়েলের সম্পর্ক কিছু বরাবর এরকম ছিল না৷ বরং দুই দেশের মধ্যে দারুণ বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল৷ ১৯৪৮ সালে পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে ইজরায়েল আত্মপ্রকাশ করার পর পশ্চিম এশিয়ার অধিকাংশ মুসলিম প্রধান দেশই ইজরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে রাজি হয়নি৷ ব্যতিক্রম শিয়া প্রধান ইরান এবং তুরস্ক৷ ইরান এবং তুরস্কই ইজরায়েলের সার্বভৌমত্বকে স্বীকার করে৷ এই সিদ্ধান্তের পিছনে অবশ্য যোগসূত্র ছিল আমেরিকা৷

advertisement

কারণ সেই সময় শাহ মহম্মদ রাজা পাহলিভর নেতৃত্বে সেই সময় ইরান পশ্চিমী দুনিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধির চেষ্টায় ছিল৷ ঠান্ডা যুদ্ধের সময়ও ওয়াশিংটনের সঙ্গে বোঝাপড়া রেখেই চলে ইরান৷ অন্যদিকে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে ইজরায়েলেরও আমেরিকার হাত ধরা ছাড়া উপায় ছিল না৷

এর পরবর্তী দুই দশকে ইজরায়েলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেন গুড়িয়ো আরব দুনিয়ার বাইরে অন্যান্য দেশগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করেন৷ ইরান এবং তুরস্ক ছাড়াও ইথিয়োপিয়ার সঙ্গে ভাল সম্পর্ক গড়ে তোলে ইজরায়েল৷ অস্ত্র বিক্রি, গোয়েন্দা তথ্যের আদানপ্রদান শুরু করে এই সহযোগী চার দেশ৷ বিশেষত ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসসাদ এবং ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা সাভাক-এর মধ্যে গোপন তথ্যের আদান প্রদান বৃদ্ধি পায়৷ অন্যান্য আরব দেশগুলি বয়কট করলেও ইজরায়েলকে অপরিশোধিত তেল সরবরাহ করে সাহায্য করে ইরান৷ আবার ইরানে বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং পরিকাঠামো নির্মাণে সাহায্য করে ইজরায়েল৷

advertisement

সব ঠিকঠাক চললেও ১৯৭৯ সালে কট্টর ইসলামপন্থীদের আন্দোলনের ফলে ইরানের কূটনৈতিক অবস্থানের পরিবর্তন হয়৷ ক্ষমতাচ্যুত হন ইজরায়েল এবং পশ্চিম দুনিয়া ঘনিষ্ঠ শাহ মহম্মদ রাজা পহলভি৷ ইসলামিক গণপ্রজাতন্ত্রী ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে দায়িত্ব নেন আয়াতোল্লাহ রুহোল্লাহ খামেইনি৷ বদলে যায় ইরান এবং ইজরায়েলের সম্পর্কের সমীকরণও৷

ইজরায়েলের সঙ্গে সুসম্পর্ক কোনওদিন মেনে নিতে পারেনি ইরানের কট্টরপন্থীরা৷ ১৯৭৯ সালে পালাবদলের পর থেকেই ইজরায়েলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে ইরানের৷ শেষ পর্যন্ত ১৯৭৯ সালে ইজরায়েলের পাসপোর্টকে গ্রাহণ অস্বীকার করে ইরান৷ আবার ইরানের পাসপোর্ট নিয়ে ইজরায়েল অধিকৃত প্যালেস্তাইনে যেকে নিষেধ করে তেহরান৷১৯৮০ এবং ১৯৯০-এর দশকে ইজরায়েলের শত্রু হিসেবে পরিচিত ইয়েমের হুদি, লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং গাজার হামাসের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে সরাসরি মদত দিতে শুরু করে ইরান৷ এই সংগঠনগুলির সদস্যদের প্রশিক্ষণ থেকে শুরু কর আর্থিক সাহায্য, সবই করতে শুরু করে ইরান৷ আর ইরানের সেই সাহায্যের জোরেই ইজরায়েলে হামলা চালাতে থাকে হামাস, হুদি, হিজবুল্লাহের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি৷ এর পর থেকে নতুন শতাব্দীতেও ইরান এবং ইজরয়েলের সম্পর্কের ক্রমশ অবনতি হতে থাকে৷ ২০২৫ সালে এসে যা চরম রূপ নিয়েছে৷

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/বিদেশ/
Iran Israel Relationship: শত্রু নয়, এক সময় পরম বন্ধু ছিল ইরান এবং ইজরায়েল! কবে, কীভাবে ভাঙন ধরল সম্পর্কে?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল