অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের প্রতিবাদে গত পাঁচ দিন ধরে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লস অ্যাঞ্জেলেস৷ বিক্ষোভের মুখে আরও কঠোর অবস্থান নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ ফলে সেনা-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসের রাস্তা৷
ট্রাম্পকে সেনা পাঠানো থেকে বিরত করতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ডেমোক্র্যাট নেতারা৷ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একনায়কতন্ত্র চালানোর অভিযোগও তুলছেন তাঁরা৷ তার পরেও সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকেননি ট্রাম্প৷ ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নরের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই ন্যাশনাল গার্ডের চার হাজার বাহিনীকে ক্যালিফোর্নিয়ায় মোতায়েন করেছেন ট্রাম্প৷ এ ভাবে সেনা মোতায়েনকে অপ্রয়োজনীয় এবং বেআইনি বলে সমালোচনা করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গাভিন নিউসম৷
advertisement
বিক্ষোভ দমনে সেনাবাহিনীকে উদ্বুদ্ধ করতে নর্থ ক্যারোলিনা সেনা ঘাঁটিতে হাজির হয়ে বক্তব্যও রাখেন ট্রাম্প৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে আমাদের সেনাবাহিনী বিদেশের মাটিতে এই দিন দেখার জন্য রক্ত ঝরায়নি যখন বিদেশি শক্তির হাতে আমাদের দেশ ধ্বংস হবে এবং তৃতীয় বিশ্বের বিশৃঙ্খলা আমাদের দেশকেও গ্রাস করবে৷ ক্যালিফোর্নিয়ায় যা ঘটছে তা শান্তি, শৃঙ্খলা এবং দেশের সার্বভৌমত্বের উপরে সরাসরি আঘাত৷ বিদেশি পতাকা হাতে নিয়ে দাঙ্গাবাজরা এই অশান্তি পাকাচ্ছে৷ ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, তাঁর প্রশাসন লস অ্যাঞ্জেলেসকে স্বাধীন করবেই৷
মার্কিন আইনে সেনাকে পুলিশের ভূমিকায় ব্যবহার করার সংস্থান নেই৷ শুধুমাত্র কোনও অভ্যুত্থানের ক্ষেত্রে এই ছাড় দেওয়া হয়৷ মঙ্গলবারই সেনার ব্যবহার নিয়ে সেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন ট্রাম্প৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যেই লস অ্যাঞ্জেলেসে কারফিউ জারি করা হয়েছে৷