শুধু কারাদণ্ড দিয়েই থেমে থাকেনি আদালত, একই সঙ্গে ৭২০ মার্কিন ডলার জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে মহিলার। আগামী এক বছর তিনি কোনও পোষ্য রাখতে পারবেন না বলেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিচারকের পর্যবেক্ষণ, পোষ্যের শারীরিক ও মানসিক চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছেন মহিলা।
মহিলার পোষ্য কুকুরের নাম নুগি। ২০২১ সালে পুলিশ প্রথম নুগির সন্ধান পায়। খবর দেওয়া হয় সোসাইটি ফর দ্য প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি টু অ্যানিমাল সংগঠনে। তাঁরা এসে দেখেন, নুগির ওজন ৫৪ কিলোগ্রাম। স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। স্থূল চেহারার কারণে নড়াচড়ার ক্ষমতা পর্যন্ত নেই। প্লাস্টিকের উপর বসিয়ে টেনে নিয়ে যেতে হয় তাকে। কিন্তু খাওয়াদাওয়ার কোনও কমতি নেই।
advertisement
আরও পড়ুন : আমেরিকান মহিলাকে তাঁর প্রাক্তন স্বামীই মহারাষ্ট্রের জঙ্গলে ফেলে গিয়েছেন চেনবন্দি অবস্থায়? ক্রমশ জটিল রহস্য
এসপিসিএ-এর টড ওয়েস্টউড বলেন, “আমরা যত স্থূল চেহারার প্রাণী দেখেছি, তার মধ্যে নুগির ওজন সবচেয়ে বেশি। বিপুল ওজনের কারণে হাঁটতে পারত না বললেই চলে। এই কারণে কষ্টও পেত।’’ টডের কথায়, “দুঃখজনকভাবে আমরা প্রতিদিন এমন অনেক প্রাণী দেখি যাদের ওজন কম, ঠিক মতো খেতে পায় না, অপুষ্টিতে ভুগছে। আমাদের খারাপ লাগে। কিন্তু অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে বিপুল ওজন, নড়াচড়ার ক্ষমতা নেই, এমন প্রাণীর দেখা পাওয়াও সমানভাবে যন্ত্রণাদায়ক।’’
নুগির ওজন কমানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিল সোসাইটি ফর দ্য প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি টু অ্যানিমাল সংগঠন। তাদের তত্ত্বাবধানে এক মাসে ৮.৮ কিলো ওজন কমেও। কিন্তু এরপরই লিভারে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। আর বাঁচানো যায়নি নুগিকে। ময়নাতদন্তে কুশিং রোগ, লিভারের সমস্যা সহ একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যার হদিশ মিলেছে। এসবই হয়েছে অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে। এই মৃত্যুকে ‘হৃদয়বিদারক’ বলে বর্ণনা করেছেন টড। একটি বিবৃতিতে এসপিসিএ জানিয়েছে, নুগিকে শুকনো খাবারের সঙ্গে প্রতিদিন ১০ টুকরো মুরগির মাংস খাওয়ানো হত। যা অনেক বেশি।
কুকুর পুষলে তাকে উপযুক্ত খাবার এবং প্রতিদিন ব্যায়াম করাতে হবে। কিন্তু ওই মহিলা তা করাননি। স্পষ্ট কথা টড ওয়েস্টউডের। তিনি বলেন, “অতিরিক্ত খাওনোর কারণেই নুগির মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।’’