এই পুতুলের কারণে বাস্তবে অনেক ভৌতিক ঘটনা ঘটেছে বলে বিশ্বাস ৷ সেই ঘটনাগুলির উপর ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছিল বিখ্যাত হলিউড ব্লকবাস্টার The Conjuring ৷ অ্যানাবেলের জনপ্রিয়তা থেকে আলাদা করে এই পুতুলকে নিয়েও তৈরি হয়েছে সিনেমা ৷ কিন্তু সব সিনেমার গল্পের মতো অ্যানাবেলকে কেন্দ্র করে যে জল্পনাগুলো রয়েছে তা কাল্পনিক নয় ৷
advertisement
বাস্তবের অভিশপ্ত ভৌতিক মেয়ে পুতুল অ্যানাবেল আসলে ওয়ারেন পরিবারের সম্পত্তি ৷ ১৯৭০-এ তাঁকে বাড়ি এনেছিলেন এড অ্যান্ড লরেন ওয়ারেন ৷ পুতুলটির কারণে বেশ কয়েকবার অনেক এমন ঘটনা ঘটেছে যার ব্যাখা যুক্তি-বুদ্ধি-তর্কের উর্ধ্বে ৷ বলা হয়, নার্সিং পড়ুয়া মেয়ে ডোনাকে জন্মদিনে এই 'অ্যানাবেল' পুতুলটি উপহার দিয়েছিলেন তাঁর মা। ডোনার হস্টেলের রুমমেট ছিল এনজি। প্রথম দেখাতে মিষ্টি পুতুলটিকে অস্বাভাবিক কিছু মনে হয়নি কারও। কিন্তু কয়েক দিন পর থেকেই নাকি ঘটতে থাকে কিছু অদ্ভুত ঘটনা। প্রচলিত গল্পে শোনা যায়, ডোনা কলেজে যাওয়ার আগে বিছানায় রেখে যেত অ্যানাবেলকে। বাড়ি ফিরে দেখত সেটি সোফায়। কিন্তু কেউই অ্যানাবেলকে সরিয়ে রাখেনি। বার বার এমন ঘটনা ঘটায় পরীক্ষার জন্য অ্যানাবেলকে ঘরে একা রেখে ডোনা ও তাঁর বন্ধু ঘর ছেড়ে যায় ৷ বাইরে ঘুরে এসে তারা দেখে অ্যানাবেল বসে রয়েছে অন্য জায়গায় ৷
এই পুতুলটিকে ঘিরে এক বা একাধিক এমন আধিভৌতিক ঘটনা ঘটেছে ৷ সবাই বিশ্বাস করতে শুরু করে অ্যানাবেল অভিশপ্ত ৷ এর পরই তাঁর স্থান হয় ওয়ারেন’স ওকাল্ট মিউজিয়ামের কাঁচের বাক্সে ৷ সেখানেও অভিশপ্ত পুতুল বলে অ্যানাবেলের পরিচয় দেওয়া হয় ৷ ১৪ অগাস্ট করোনা আবহে বন্ধ এই মিউজিয়ামের কাঁচের বাক্স থেকেই ভুতুড়ে পুতুলটি বেপাত্তা বলে খবর ছড়ায় ৷ মুহূর্তে সে খবর ভাইরাল নেটপাড়ায় ৷ কেউ কেউ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে তো কেউ আবার মস্করা করে নানা মিম বানাতে থাকে ৷
তবে সব ভাইরাল খবরই যেমন সত্যি হয় না তেমনি অ্যানাবেলের পালিয়ে যাওয়ারও খবর সত্যি নয় বলে দাবি ৷ ওয়ারেনদের জামাই টনি স্পেরা বন্ধ ওই মিউজিয়ামে অ্যানাবেলের কাঁচের বক্সের সামনে দাঁড়িয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন ৷ ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে অ্যানাবেল যথাস্থানেই রয়েছে ৷ তিনি লিখেছেন, ‘অ্যানাবেল কোথাও ঘুরতে যায়নি ৷ ওর বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে দেখা করতে পালায়নি ৷ এখানেই আছে ৷ ও কখনও মিউজিয়াম ছেড়ে কোথাও যায়নি ৷’
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সাল থেকে এই মিউজিয়াম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন ওয়ারেনরা ৷ তবে অ্যানাবেলের এই পালানোর গুজব এতটাই প্রভাব ছড়ায় যে উইকিপিডিয়াও পেজও অ্যানাবেলকে নিখোঁজ বলে তকমা দিয়ে দিয়েছিল ৷ তবে অ্যানাবেল পালিয়ে না গেলেও ২০২০ ইতিমধ্যে এতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে ়যে আর কোনও ঘটনাই যেন না ঘটে ৷