বাংলাদেশের স্থানীয় সংবাদ সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ছাত্র ও পুলিশের মধ্যে বার বার খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে৷ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়৷ রাবার বুলেট ছোড়া হয়৷ এই ঘটনায় প্রায় ৩২ জনের মৃত্যু ঘটেছে৷
আরও পড়ুন: কোটা’ ইস্যুতে উত্তাল বাংলাদেশ, ও পারে বসবাসকারী ভারতীয়দের জন্য নির্দেশিকা হাইকমিশনের
advertisement
বৃহস্পতিবার ওপার বাংলার সংবাদমাধ্যমও আক্রান্ত হয়েছে৷ রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবনে হামলা, অগ্নি সংযোগের মতো ঘটনা ঘটেছে৷ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধের দিকে এই হামলা ঘটেছে৷ এর ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে টিভি সম্প্রচার ৷ বৃহস্পতিবার সন্ধের দিকে ‘হাতিরঝাল’ অ়ঞ্চলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (BGB) একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা৷
আরও পড়ুন: গাজার ‘সেফ জোনে’ বোমাবর্ষণ ইজরায়েল সেনার, নিহত প্রায় ৯২ জন
সারা দেশে বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা৷ আগেই বাংলাদেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাসিনা সরকার৷ আবাসিক পড়ুয়াদের হস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
অন্যদিকে ভারত সরকার ইতিমধ্যেই ওপারে বসবাসকারী ভারতীয় বাসিন্দা ও পড়ুয়াদের জন্য একটা নির্দেশিকা জারি করে দিয়েছে৷ বৃহস্পতিবার জারি করা নির্দেশিকায় লেখা রয়েছে,“বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে বসবাসকারী ভারতীয় বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীরা বাড়ির বাইরে বেশি ক্ষণ থাকবেন না। যে কোনও জরুরি অবস্থায় বা সাহায্যের দরকার হলে অনুগ্রহ করে আমাদের হাই কমিশন এবং সহকারী হাই কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করুন৷’’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের বর্তমান কোটা পদ্ধতিতে সরকারি চাকরির জন্য ৫৬ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রয়েছে৷ যার মধ্যে ৩০ শতাংশ আসন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য, ১০ শতাংশ অনগ্রসর প্রশাসনিক জেলাগুলির জন্য, ১০ শতাংশ মহিলাদের জন্য, ৫ শতাংশ সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর জন্য এবং ১ শতাংশ আসন প্রতিবন্ধী মানুষদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে।
প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় ৪০০,০০০ স্নাতকদের জন্য কমবেশি ৩,০০০ পদের সরকারি চাকরির পরীক্ষা হয়। সরকারি চাকুরিতে এই সংরক্ষণ তোলার দাবিতেই রক্ত ঝরছে ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের।