যা যা করবেন-
ত্বক পরিষ্কারে সাবানহীন কসমেটিক ব্যবহার
আপনি ত্বক পরিষ্কারক হিসেবে অবশ্যই সাবান বিহীন অর্থাৎ সোপ ফ্রি ফেস ওয়াশ ব্যবহার করবেন। সাবান আপনার ত্বকের স্বাভাবিক দীপ্তি অনেকটাই কমিয়ে দেয়।
নখ দিয়ে ত্বকের শুষ্কতা পরিমাপ করুন
সব সময় হাতে কিংবা পায়ের ত্বকে নখ দিয়ে হালকা আঁচর কেটে দেখুন সেখানে কি সাদা ভাব ফুটে উঠছে কিনা? যদি সাদা দাগ দেখা যায় তবে বুঝতে হবে আপনার ত্বক শুষ্ক। শুষ্ক ত্বকের সঙ্গে যায় এমন সব জিনিস ত্বকে প্রয়োগ করতে হবে। আর যদি ত্বক হয় তৈলাক্ত তবে তৈলাক্ত বিউটি প্রডাক্ট ব্যবহার বন্ধ করতে হবে ৷
advertisement
মুখের ত্বকের মতোই গলা এবং পিঠের যত্ন নিন
অনেকেই মনে করেন শুধু মুখের ত্বকের যত্ন মানেই ত্বকের যত্ন। বাস্তবিক আপনার সম্পূর্ণ শরীর জুড়েই ত্বকের অবস্থান ৷ আপনাকে শরীরের সব জায়গায় সমান যত্ন নিতে হবে। বিশেষ করে আপনি যখন বাইরে যান, তখন আপনার ঘাড় কিংবা গলায় সূর্যের আলোর প্রভাব অনেক বেশি পড়ে ৷ একই সঙ্গে এই জায়গায় ময়লাও অনেক বেশি হয়। সুতরাং এ সব যায়গায় ঠিকভাবে যত্ন নিতে হবে। গরমের দিনে বাইরে থেকে এসেই ঘাড়ে একটি টাওয়েল ঠাণ্ডা জলে ভিজিয়ে লাগান – এতে আপনার ঘাড় এবং মাথা উভয়ই ঠান্ডা থাকবে।
ত্বকে কৃত্রিম ক্রিম ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক জিনিস ব্যবহার করার চেষ্টা করুন
আমাদের প্রকৃতিতেই অনেক পণ্য পাওয়া যায় যা দিয়ে আমরা খুব সহজেই প্রাকৃতিক উপায়ে আমাদের ত্বকের যত্ন নিতে পারি। মূলত এ সব প্রাকৃতিক উপাদানে কোনওরূপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না।
চলুন এ বার জেনে নিই কোন ধরনের ত্বকের যত্ন কিভাবে নেওয়া যাবে
আমাদের ত্বক তৈলাক্ত, শুষ্ক এবং সাধারণ এই তিন ধরনের। আর এই তিন ধরনের ত্বকের যত্ন নিতে হয় আলাদা তিন পদ্ধতিতে।
তৈলাক্ত ত্বক
তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে নানা সমস্যা তৈরি হয় ৷ বিশেষ করে গরম কালে। এ সময় তৈলাক্ত ত্বক নিয়ে বাইরে বের হলেই বিরক্তিকর এক অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়। যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা বেশি করে মুখ ধুয়ে ফেলবেন। আপনি জল দিয়ে ত্বক ধুলে আপনার ত্বক অনেকটাই শীতল থাকবে। এ ছাড়া আপনি মেথির গুড়ো, শসার রস এবং চালের গুড়ো দিয়ে খুব সহজেই একটি প্যাক তৈরি করে আপনার তৈলাক্ত ত্বকে প্রয়োগ করতে পারবেন। এতে আপনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব অনেকটাই হ্রাস পাবে। দিনে দু’বার এই প্যাক লাগালে আপনার ত্বকের ব্রণ হওয়ার প্রবণতাও অনেকটাই কমে যাবে কারণ ব্রণ তৈলাক্ত ত্বকের একটি প্রধান সমস্যা।