গ্রুপ লিগে ফ্রান্স-ডেনমার্ক ম্যাচের পর এক ফরাসি সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল, কার নির্দেশে এমন বিরক্তিকর ফুটবল খেলল ফ্রান্স ? ওই দিন স্বদেশি ওই সাংবাদিকের প্রশ্ন নিজের ক্লাসিক ফ্রিকিক মারার ঢঙেই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন দিদিয়ের দেশঁ। বলেছিলেন আমার নির্দেশে। যুক্তি ছিল, রোজ ফুল ফোটে না। ফুল ফুটতে হলেও মাটি তৈরি করতে হয়। আসলে জমি তৈরি করেই রাশিয়া এসেছিলেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের মতো ঢাকঢোল ছিল না। মেসি-রোনাল্ডোর মতো তাঁর দলে কাউকে নিয়ে আলোচনা ছিল না। তাই নিঃশব্দে নিজের কাজটা করে গিয়েছেন দেশঁ।
advertisement
আরও পড়ুন-ফরাসি তারুণ্যে মাত ক্রোয়েশিয়া, একগুচ্ছ রেকর্ডের সাক্ষী থাকল লুজনিকি
পন্ডিতদের মতে, রাশিয়ার মাটিতে নতুন ফরাসি বিপ্লবে অনেকগুলি বিষয় পাল্টে দিয়েছেন দেশঁ। পোগবাকে হোল্ডিং মিডফিল্ডার হিসেবে খেলিয়ে চমকে দিয়েছেন। গ্রিজম্যানকে অ্যাটাকিং মিডিও তৈরি করে দিয়েছেন। আর ১৯ বছরের এমব্যাপের উপর অগাদ আস্থা দেখিয়ে তারুণ্যে সিলমোহর বসিয়েছেন। সবচেয়ে বড় চমক হয়তো তাঁর অঙ্ক কষে ম্যাচ খেলা। তাই আর্জেন্টিনা ম্যাচে দল ২-১ গোলে পিছিয়ে পড়লেও ডাগআউট থেকে হাত-পা ছুঁড়তে দেখা যায়নি তাঁকে। কারণ, ৪৯ বছরের দেশঁ’র বিশ্বাস ছিল লাতিন শক্তিকে মাটি ধরানোর ক্ষমতা তাঁর এগারো বাহাদুরের মধ্যে রয়েছে। আর তাই হয়েছিল। প্যারিস থেকে লুজনিকি। গত বিশ বছরে একাধিকবার বদলেছে ফরাসি ফুটবল। ২০১২ সালে এই দলের দায়িত্ব নিয়ে একটা বিষয় বিশ্ব ফুটবলের কাছে রবিবার স্পষ্ট করলেন দেশঁ। সত্যিই এই ফ্রান্স আর ফুটবল শিল্পে বিশ্বাস করে না। বিশ্বাস করে মাপা অঙ্কে ম্যাচ জিততে। যার নিট ফল ফরাসি স্বাধীনতা দিবসের পর দিনেই দেশবাসীর জন্য স্বাধীনতার উপহার বিশ বছর পর বিশ্বকাপ। নেপথ্য নায়ক দিদিয়ের দেশঁ।