এই বছরের জানুয়ারি মাসে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাশপুর থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় বাসিন্দা চন্দন মাঝি। অভিযোগ, নোটবন্দির সময় পুরোন নোটের বদলে সোনা পাইয়ে দেওয়ার টোপ দেন ঝাড়গ্রামের প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ এবং তাঁর স্বামী এমএভি রাজু। অভিযোগ দায়ের পরেই গা ঢাকা দেন ভারতী। এরমধ্যেই তদন্তের দায়িত্ব নিয়ে নাকতলা ও মাদুরদহে প্রাক্তন পুলিশ কর্তার বাড়ি থেকে কয়েকশো কোটি টাকা উদ্ধার করে সিআইডি। গত পনেরোই ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তী আগাম জামিন পান রাজু। এরমধ্যে এগারো বার গোয়েন্দাদের মুখোমুখি হন তিনি।
advertisement
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল রাজুর আগাম জামিনের শুনানি। সিআইডি-র অভিযোগ, তদন্তে বারবার গোয়েন্দাদের বিভ্রান্ত করেছেন রাজু। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই রাজুর জামিন খারিজ করে ডিভিশন বেঞ্চ।
এরপর হাইকোর্ট চত্বর থেকে তাকে আটক করে, ভবনীভবনে গ্রেফতার করা হয়। এই গ্রেফতারির পর গোয়েন্দাদের দাবি, দাশপুর প্রতারণা তদন্তে আরও গতি আসবে। যদিও এখনও ফেরার মূল অভিযুক্ত ভারতী ঘোষ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজুর গ্রেফাতারিতে চাপ বাড়ল ভারতীর উপরেই। এখন নতুন স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হল সিআইডি বনাম ভারতীর।