পাকুড়িয়া ব্রিজে উঠে দুর্ঘটনায় পড়েছিল ফেরারি। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের মতে, দুর্ঘটনাস্থল থেকে অন্তত দুশো দশ ফুট আগে প্রথমবার ব্রেক কষে গাড়িটি। দুর্ঘটনার আঁচ পেয়েই ব্রেক কষেন চালক। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গার্ডওয়ালে আছড়ে পড়ে গাড়ি। প্রথম বার ব্রেক কষার পরই গাড়িটির বনেটের বাঁদিকের অংশ রাস্তায় ঘষটে যায়। রাস্তায় তার চিহ্নও মিলেছে।
advertisement
ওয়াসিম রেজা, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ জানান, ''গাড়িটিতে সামনে ও পাশে মিলিয়ে মোট চারটি এয়ার ব্যাগ ছিল। তা খুললেও, কাজে আসেনি।''
সোমবার, ডোমজুড় থানায় রাখা ভাঙাচোরা ফেরারি থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ করে ফরেনসিক দল। গাড়ির স্পিডোমিটার, ড্যাশবোর্ড ও নানা ইলেকট্রনিক ডিভাইস, গাড়িটির এয়ারব্যাগ ও এয়ারব্যাগে লেগে থাকা রক্তের নমুনাও নেওয়া হয়েছে। গাড়ির ইডিআর বা ইভেন্ট ডেটা রেকর্ডারও সংগ্রহ করেছেন তাঁরা।
এই ধরনের গাড়ির তথ্য পেতে অন বোর্ড ডায়াগনস্টিক সিস্টেম বা ওডিএসের সাহায্য লাগে। তাই ফেরারি সংস্থার সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।
কিন্তু এরাজ্যে আদৌ ফেরারি চালানোর মতো পরিকাঠামো রয়েছে কি? পরিবহন দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, '' রাস্তাগুলির যা অবস্থা সেই অনুযায়ী ফেরারি, ল্যাম্বার্ঘিনির মতো গাড়ি গতিতে চালানোর মতো রাস্তা নেই। বিদেশে এমন গাড়ির জন্য আলাদা লেন রয়েছে। এখানে তেমন ব্যবস্থা নেই।''