কয়েকদিন আগে দুর্গাপুরের একটি কনসালটেন্সির মাধ্যমে এই গুণধর যোগাযোগ করে সিউড়ির নার্সিংহোমের সঙ্গে। সমস্ত নথির ফটোকপি জমা দেয়। কিন্তু কাজে যোগ দেওয়ার পরই সন্দেহ হয় কর্তৃপক্ষের।
নথির আসল দেখতে চাইলেই গুণধর বুঝতে পারে শিয়রে শমন। আসল নথি নিয়ে আর নার্সিংহোমমুখী হয়নি কীর্তিমান। নথি ঘাঁটতেই তাজ্জব বনে যান চিকিৎসকরা।
- গড়িয়ার এক মহিলা চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার
advertisement
- ওই চিকিৎসকেরই প্যান কার্ডে নিজের ছবি বসায় সে
- মহিলা চিকিৎসকের সার্টিফিকেটও জাল করে
- ওই মহিলা চিকিৎসক বিয়ের পরে ওড়িশায় থাকেন
নার্সিংহোমের দেওয়া যে ঘরে ওই ব্যক্তি থাকত, সেই ঘরের তালা ভাঙতেই চোখ কপালে। দেখা যায়,
- নার্সিংহোমের ১টি ডিজিটাল মাইক্রোস্কোপ উধাও
- প্রায় ৭ লক্ষ টাকা দামের মাইক্রোস্কোপ নিয়ে পলাতক অভিযুক্ত
এখানেই শেষ নয়, হাসপাতালের পাশে একটি দোকানে ভুয়ো চেক দিয়ে দু'টি মোবাইলও কেনে গুণধর।
- ৮৮ হাজার ৫০০ টাকার চেক দেয়
- কিন্তু চেকটি অন্য ব্যক্তির অ্যাকাউন্টের
- ওই চেকবই (আবার) কয়েকদিন আগেই ওড়িশা থেকে চুরি
সিউড়ি থানায় প্রতারকের বিরুদ্ধে দু'টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।