অবসর মানেই বই পড়তে পছন্দ করেন তিনি। সামাজিক বিষয় নিয়েও বেশ সচেতন তিনি। নানা বিষয় নিয়ে মাঝে মধ্যেই নিজের ইনস্টাগ্রামে কথা বলেন তিনি। এবার তিনি প্রশ্ন তুললেন পিরিয়ডস নিয়ে। মহিলাদের প্রতি মাসে যে কষ্ট সহ্য করতে হয়, তা পুরুষরা ভাবতেও পারবেন না। প্রতি মাসে কয়েকটা দিন 'পিরিয়ডস'-এর যন্ত্রণা নিয়েও হাসি মুখে সব কিছু করতে হয় মেয়েদের। যা একটা পুরুষ কোনওদিন ভাবতেও পারবেন না! যদি পুরুষদের 'পিরিয়ডস' হত, তবে কেমন হত এই পৃথিবী? প্রশ্ন তোলেন টুইঙ্কল।
advertisement
ইনস্টাগ্রামে একটি মজার ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। সেখানে অন্য হাসি মুখের দিনগুলোর সঙ্গে তুলনা করেন পিরিয়ডসের দিনগুলোর। কী ভাবে কঠিন যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় সকলকে, সেটাই তুলে ধরেন তিনি। মেয়েদের এই সময় বহু যায়গায় অচ্ছুৎ করে রাখা হয়। মন্দিরে বা পুজোর ঘরে যেতে দেওয়া হয় না। বহু জায়গায় এখনও পিরিয়ডস নিয়ে সঠিক সচেতনতার অভাব। বহু জায়গায় এই সময়টা মেয়েদের একেবারে এক ঘরে করে রাখা হয়? সঠিক হাইজিন পর্যন্ত মানা হয় না। কিন্তু কেন এমন হবে? এই নিয়েই সোচ্চার হন টুইঙ্কল!
তিনি লেখেন, "যদি পুরুষদের পিরিয়ডস হত, তবে নিশ্চিত পৃথিবীটা অন্য রকম হত। এবং সেটা একটা দারুণ উপভোগ্য বিষয় হত বইকি! মেয়েদের এই ক'দিন কী সহ্য করতে হয়, তা তাঁরা জানেও না। বেশি না অন্তত্য যদি মাস দু'য়েক পিরিয়ডস কী হয় বুঝত তাঁরা। তাতেই সব বদলে যেত। আমাকে কমেন্ট করে জানাও যদি পুরুষদের পিরিয়ডস হত তাহলে কেমন হত এই পৃথিবী।" এই পোস্ট মুহূর্তে ভাইরাল হয়। তাঁর পোস্টে অনেকেই কমেন্ট করেন। অনেক মহিলাই দাবি জানিয়েছেন, পিরিয়ডসের সময় অন্তত্য দু'দিন ছুটি বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত। যদিও এই প্রশ্ন নতুন নয়। বহুদিন ধরেই এই নিয়ে চর্চা চলছে।