#কলকাতা: হায়দরাবাদে গণধর্ষণ-খুনে নিহত চার অভিযুক্তই। ভোরবেলায় পুলিশের এনকাউন্টার। যেখানে নির্যাতিতার মরদেহ পোড়ায় অভিযুক্তরা সেখানেই তারা পুলিশের উপর চড়াও হয়। পালটা গুলিতে মৃত্যু হয় চার অভিযুক্তের। তেলেঙ্গনায় এনকাউন্টারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই দেশজুড়ে আলোড়ন। প্রশংসার বন্যা। সাইবরাবাদ পুলিশকে কুর্নিশ করে বার্তা। পুলিশকে সংবর্ধনা, পুস্পবৃষ্টি, মিষ্টি বিতরণ। সোশাল মিডিয়াতেও সাইবরাবাদ পুলিশের নামে জয়ধ্বনি। কিন্তু সত্যিই কি পালানোর চেষ্টা করেছিল অভিযুক্তরা? নাকি ঠান্ডা মাথায় ভুয়ো সংঘর্ষে খুন করা হয়েছে চারজনকে? হায়দরাবাদে ভোররাতের এনকাউন্টার অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়ে গেল। ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে বিচার পরে। সুবিচার ফাস্ট ট্র্যাক এনকাউন্টারে। তেলঙ্গানা পুলিশ এখন হিরো। দেশের বেশিরভাগ মানুষই এনকাউন্টারে ধর্ষণ-খুনে অভিযুক্তদের মেরে ফেলার পক্ষে গলা ফাটাচ্ছেন। এই প্রবণতার মধ্যেই অনেকে আবার দেখছেন অশনি সংকেত।
advertisement
হায়দরাবাদ ধর্ষণ কণ্ড এর অভিযুক্তদের রিল লাইফের মত এনকাউন্টার করলেন তেলেঙ্গানা পুলিশ। সিনেমার মতো এই ঘটনা নিয়ে সিনেমা ওয়ালাদের ভিন্ন মত। অধিকাংশই খুশি। কেউ আবার আইন হাতে তোলা সমর্থন করেন না। নিউজ 18 বাংলাকে নিজের মত জানালেন তারকারা।
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
আমি অবসাদগ্রস্থ, অত্যন্ত আতঙ্কিত, আশঙ্কিত, খুব কষ্ট পেয়েছি, ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছি। এরকম ভাবে কেউ অত্যাচারিত হতে পারে ভাবা যায় না। জীবন শুরু হওয়ার আগেই শেষ হয়ে গেল। আমাদের কোনও নিরাপত্তা নেই, কারোর কাছে সাহায্য চেয়ে এই অবস্থা হতে পারে ভাবা যায় না। আমি আইন বুঝি না , এনকাউন্টার বুঝি না , আমার মনে হয় ইশ্বর দোষীদের শাস্তি দিয়েছে। যারা এই ধরনের ঘৃণ্য কাজ করতে পারে তারা তার পরিণাম সম্পর্কেও নিশ্চয় সচেতন।
.....…....
চিরঞ্জিত - অনেকটা সিনেমার চিত্রনাট্যের মতো। নকশাল আমলে এরকম হতো। প্রাথমিক ভাবে শুনে তো আনন্দ হয়েছে , কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে আমরা সভ্য সমাজে বাস করি, তার কিছু নিয়ম কানুন, সংবিধান আছে। নিরপরাধ কেউ যেন শাস্তি না পায়, তা দেখতে হবে। ওদের ধরার দশ দিনের মধ্যে এই ঘটনা হয়েছে , নিশ্চিত করতে হবে আইনি উপায়ে এইধরনের ঘটনার এক মাসের মধ্যে রায় হোক।
গৌতম ঘোষ
চতুর্দিকে হিংসা আর রক্তপাত। যে দেশে গান্ধির আন্দোলন হয়েছিল শান্তিপূর্ণ। সেই দেশ যে এরকম হিংসাত্মক হয়ে উঠবে তা আমার কল্পনাতেও ছিল না। কে দোষী কে দোষী নয় তা পরের কথা, কিন্তু পরিবেশটা হিংসাত্মক। এর থেকে মুক্তির পথ জানা নেই। নতুন বাজার, অর্থনীতিতে লোভ সর্বস্ব হয়ে উঠেছে সবকিছু। মানবিক মূল্যবোধ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। মালদায় , উত্তরপ্রদেশে যা ঘটেছে সে তো বিকারগ্রস্ত একটা সমাজেরই পরিচয় দেয়।
রাহুল
আমি একজন সাধারণ মানুষ। প্রাথমিক ভাবে আমার মনে হয়েছিল বেশ হয়েছে। পরে অনেক কথা মাথায় এসেছে আইন ও তার প্রয়োগ নিয়ে তবে শাস্তি এদের প্রাপ্য ছিল।
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়
কঠোরতম শাস্তি হওয়া উচিত, এতে কোনও সন্দেহ নেই, তবে দেশে আইন বলেও একটা বিষয় আছে। দুটোর মধ্যে ভারসাম্য থাকা দরকার। এটাও ঠিক যাদের সঙ্গে বা যে পরিবারের সঙ্গে এমন নারকীয় ঘটনা ঘটে তাদের পক্ষে আইন নিয়ে ভাবার অবকাশ নেই।
গৌরব চক্রবর্তী
প্রথম শুনে খুশি হয়েছি, তবে আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধান হলেও খুশি হতাম। ওর পরিবারের কথা ভাবলে মনে হয় এটাই হওয়া উচিত ছিল
শুভশ্রী
আজ সেলিব্রেট করার দিন। হায়দরাবাদ পুলিশকে ধন্যবাদ, সব ধর্ষকদের এরকমই শাস্তি হওয়া উচিৎ। যারা বলছেন আইনের কথা তাদের কাছে একটাই প্রশ্ন আপনাদের কারোর সঙ্গে এমন হলে মানতে পারতেন তো।
অঙ্কুশ
আমি খুব খুশি হয়েছি। এটাই ঠিক শাস্তি
কোয়েল মল্লিক
আমি খবরটা শুনে খুশি এটা ওদের প্রাপ্য ছিল।
ঋদ্ধিমা
এর থেকে ভালো আর কি হতে পারত। আশা করি এর পরে এরকম ঘটনা ঘটানোর আগে ভয় পাবে দোষীরা।
কৌশানি
আজ মিষ্টি খাওয়ার দিন। এর থেকে ভাল কিছু হতে পারে না। আইন ব্যবস্থা ঠিক থাকলে এটার দরকার পড়তো না। তাই ঠিক হয়েছে।
বনি
আমি খুব খুশি হয়েছি। যা হয়েছে ভালো হয়েছে।