নিজের যাবতীয় কষ্ট ভুলে দোলের সকালে পোষ্যদের সঙ্গে আদরে-আহ্লাদে রঙের আলোয় মাতলেন ঐন্দ্রিলা। একমুখ হাসি নিয়ে প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরীর (sabyasachi chowdhury) পাশে বসে ক্যামেরাবন্দি হতে দেখা গেল তাঁকে। এর আগে একবার ক্যানসারকে হারিয়েও ফের মারণরোগে আক্রান্ত হয়েছে তিনি। কিছুদিন আগেই হাসপালাতের বেডে শুয়ে তাঁর কান্নার ভিডিও বার্তা ভাইরাল হয়েছিল নেটজগতে। অশ্রুজলে অনুরাগীদের কাছে তাঁর আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করার আবেদন করেছিলেন ঐন্দ্রিলা। তবে কিছুদিনের মধ্যেই নিজেকে গুছিয়ে নেন অসম্ভব মনোবলের অধিকারী এই মেয়ে। যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করে নেন নিজেকে। কেমো-পর্ব সেরে আবার ষ্টুডিওর মেকাপ-রুমেও দেখা যায় অভিনেত্রীকে। হাসিমুখে। বিষাদকে আড়াল করে সেই মুখে ফুটে উঠেছিল আত্মবিশ্বাস। যুদ্ধজয়ের আশ্বাস।
এই সবই সম্ভব হয়েছে প্রেমিক সব্যসাচীর যোগ্য সাহচর্যে। সেকথা নিজের ইন্সটা প্রোফাইল থেকে একটু অন্যভাবে শেয়ারও করেছিলেন ঐন্দ্রিলা। কিছুদিন আগেই দ্বিতীয় কেমো নিতে ফের দিল্লির বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। সেখান থেকেই শেয়ার করেন দুটি ছবি। একটি নিজের মা শিখা শর্মার সঙ্গে ও অপরটি প্রেমিক ‘বামাক্ষ্যাপা’ সব্যসাচী চৌধুরীর সঙ্গে। স্টার জলসা পরিবার অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত হয়েছে বামাক্ষ্যাপা পরিবার। তাই অ্যাওয়ার্ড হাতে বিশেষ মানুষ ঐন্দ্রিলাকে পাশে নিয়েই ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন সব্যসাচী। তাঁর পোস্ট-এর ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছিলেন, ‘ঈশ্বরের দেওয়া আমার উপহার’।
সেই কাছের মানুষই দোলের উৎসবেও তাঁকে সঙ্গ দিলেন। আর ছিল ঐন্দ্রিলার দুই পোষ্য। নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে দোল পালনের ছবি পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। সেই সঙ্গে অনুরাগীদের রঙের উৎসবের শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। ছবির ক্যাপশনে ঐন্দ্রিলা লিখেছেন, ‘হ্যাপি হোলি’। সঙ্গে নানা রঙের হৃদয়ের ইমোজি। মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ছবিগুলি।