প্রশ্ন - বাড়িতে এতো ছোট সন্তান কোনও বেশি মাত্রায় চিন্তা হচ্ছে না?
উত্তর- না, জানতো শুধু আমার ছোট বাচ্ছা বলে নয় আমার বাড়িতে অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যও রয়েছেন। এখন চিন্তাটা সবাইকে নিয়েই হচ্ছে। এটা এমন একটা জিনিস যেটা আমি চোখে দেখতে পাবনা। তাই সব রকমের সতর্কতা বজায় রাখছি৷
প্রশ্ন -তোমার মেয়ে কিয়া তো এখন শক্ত খাবার খাচ্ছে....
advertisement
উত্তর- হ্যাঁ ওকে এখন সব কিছুই অল্প অল্প করে দেওয়া হয়। কিন্তু এই যে সব্জিটা বাইরে থেকে আসছে ওটাকে অনেক্ষণ ধরে ভাল করে ধুয়ে তবেই ফ্রিজে তোলা হচ্ছে। দুধের প্যাকেটও বাড়িতে আসছে, সেটাও ভালো করে ধুয়ে মুছে তবেই তোলা হচ্ছে। আমাদের নিজেকেই সাবধান হয়ে চলতে হবে এছাড়া আর কি বা উপায় আছে।
প্রশ্ন -নিজে কোনও ঝামেলায় পড়েছেন হঠাৎ লকডাউন হওয়ার জন্য?
উত্তর-হ্যাঁ পড়তে তো হয়েছে। আমার মেয়ে যে সেরেল্যাকটা খায় সেটাই তো বাজারে পাওয়া যাচ্ছিলনা। কী ভীষণ চিন্তায় পরে গিয়েছিলাম। তারপরে অনেক চেষ্টার পরে পাওয়া গিয়েছে। বাচ্ছাদের বোতল ধোয়া বা জামাকাপড়ের যে আলাদা সাবান হয়ে সেসবের ও খুবই অমিল। সেই জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে একটা টেনশন কাজ করেই। আমার মেয়েকে মিনারেল ওয়াটার দেওয়া হয়। সেই জল ও তো পাওয়া যাচ্ছিলনা। ঝামেলা তো হচ্ছেই।
প্রশ্ন -লকডাউনের জন্য একটুও কী হাতাশা কাজ করছে?
উত্তর- আমি পুরো জিনিসটাকে খুব পজিটিভলি দেখছি। আমার মেয়ে ছেলে স্বামীর সঙ্গে আমি এতটা সময় কাটাব ভাবতেই পারিনি। আমার মেয়ে ওর বাবা মা দুজনকেই সব সময় পাচ্ছে৷ তাই আমি বিষয়েটাকে খুব পজিটিভলি দেখছি।
প্রশ্ন - অনেকেই বলছেন লকডাউনের সময় আরও বাড়ানো হতে পারে।এটা শোনার পরে কী প্রতিক্রিয়া?
উত্তর- দেখ আমি যে শুধু খবরের চ্যানেল দেখি তা নয়। আমি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেক দেশের মানুষের সঙ্গে কানেক্টেড। চারিদিকে যা দেখছি তাতে মনে হয়ে এই যুদ্ধে জয়ী হতে গেলে আমাদের যতদিন না বেরোতে বলা হচ্ছে আমাদের এটা ফলো করা উচিত। কিন্তু হ্যাঁ এরকম অনেক মানুষ আছেন যারা দিন আনি দিন খাই। তাঁদের দিকটাও আমাদের ভাবতে হবে। আমি শুনলাম কলকাতা পুলিশ নাকি অনেকের খাবারের ব্যবস্থা করেছে। এইগুলো শুনলেও মনে শান্তি হয়। অনেক মানুষ আছেন যারা বাড়ি ফিরতে পারছেন না। তাঁদের যদি ফাঁকা স্কুল কলেজে রাখার ব্যাবস্থা করা যেতে পারে ওদের অনেকটাই উপকার হবে। দাল আর ভাত দেওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে যাতে করোনার আগে অনাহারে না মারা যায় এই দরিদ্র মানুষগুলো।