TRENDING:

মনে অনেক যন্ত্রণা নিয়ে চলে গেলেন তাপস পাল !

Last Updated:

সত্যি কি নেতা হওয়ার দরকার ছিল? অভিনেতা কি যথেষ্ট ছিল না? এই সবই তাপস উপলব্ধি করেছিলেন ঠিকই তবে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছিল।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: চন্দননগরের সাধারণ পরিবারে জন্ম। ছোট থেকেই অভিনয়ের প্রতি আলাদা আগ্রহ ছিল তাপস পালের।দাদার কীর্তি'তে প্রথম সুযোগ দেন পরিচালক তরুণ মজুমদার। সেই পথ চলা শুরু। তারপরে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এই অভিনেতাকে। আজ তার মৃত্যু সংবাদ শোনার পরে অনেক স্মৃতি ফিরে ফিরে আসছিল তাপসের অনেক প্রিয়জনের মনে।বেশ কিছু বছর যাবৎ একেবারেই শরীরটা ভালো ছিলনা দাদার। হাই প্রেসার তার সঙ্গে ডায়েবেটিস তো ছিলই। তবে সব থেকে যেটা তাপসকে ভুগিয়েছে তা হল তার স্নায়ুর সমস্যা। ছবিতে আসার আগে তাপস পালের একটি অ্যাক্সিডেন্ট হয় এবং পরে ছবিতে কাজ করার সময় একবার ঘোড়া থেকে পরে গিয়ে মাথায় সাংঘাতিক চোট পান এই অভিনেতা । ৫২টা স্টিচ পড়েছিল। সেই কারণেই দীর্ঘদিন গুরুতর অসুস্থ ছিলেন তাপস পাল।জীবন যুদ্ধে জয়ী তাপস পাল আবারও ফিরে আসেন স্বাভাবিক জীবনে। কিন্তু এই বড় দুটো দুর্ঘটনা আস্তে আস্তে তাঁকে ঠেলতে থাকে একটা সাংঘাতিক স্নায়ু সমস্যার দিকে যা নিয়ে শেষ দিন অবধি কষ্ট পেতে হয়েছে সাহেবকে।
advertisement

দাদার কীর্তি তখন সবে মুক্তি পেয়েছে।হই হই করে চলছে সব হলে।এক সাংবাদিকের সঙ্গে একদিন নন্দিনীর বাড়িতে হাজির তাপস পাল।সাংবাদিক বন্ধুই সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল। নন্দিনীকে দেখা মাত্রই প্রেমে পরে যান তাপস পাল। প্রেম পর্ব চলে বেশ কিছুদিন তারপরে বিবাহ। নন্দিনী সারাজীবনে সব রকম ভাবে সাপোর্ট দিয়ে গিয়েছেন স্বামীকে। তার শারীরিক অসুস্থতার কারণে আরো যেন তাকে একটু বেশি আগলে রাখার প্রবণতা ছিল নন্দিনীর। প্রথমবার সাংসদ হওয়ার সময়ও নন্দিনী  ও কন্যা সোহিনী ছিল তার সঙ্গে। সংসদে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পরে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন তাপস পাল। সৌগত রায় সেইসময় ছিলেন তাপসের সঙ্গে।এতটাই অসুস্থ বোধ করেন তাপস যে তড়ি ঘড়ি খবর পাঠানো হয়ে নন্দিনীকে। অর্থাৎ তাপস পালের স্নায়ুর সমস্যা তাকে ভুগিয়েছে থেকে থেকে। তবে শুধু কি শারিরীক সমস্যায় একমাত্র কারণ তাঁর অকালপ্রয়ানের জন্য?  না বিষয়টা একেবারেই তা নয়। যারা তাকে সত্যি মানুষ হিসেবে ভালোবাসতেন তারা বলছেন এর জন্য অনেকটাই দায়ী তার মানসিক অবসাদ। বেশ কয়েকটি বিষয় নিঃশেষ করে দিয়েছিল অভিনেতাকে।

advertisement

সত্যি কি নেতা হওয়ার দরকার ছিল? অভিনেতা কি যথেষ্ট ছিলনা? এই সবই তাপস উপলব্ধি করেছিলেন ঠিকই তবে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছিল। যে সময় উপলব্ধি হল তখন অনেক দেরি। "আমি চন্দননগরের মাল " সাহেবের কি এইটা না বললেই হচ্ছিল না।তার পরে হাজারবার  ক্ষমাও তো চেয়েছেন।  কিন্তু কে শুনবে সেই কথা।সবার চোখে তখন শুধু ঘৃণা।জীবনের সব অ্যাচিভমেন্ট যেন এক লহমায় শেষ। এতেও কি হচ্ছিল না? আরও কিছু দরকার ছিল ? রোজভ্যালি কাণ্ডে দীর্ঘদিন হাজতবাস জীবিত মানুষটাকে মেরে ফেলেছিল পুরোপুরি। ঘরে ফেরার কত চেষ্টা।কতবার জেল হাসপাতাল। কে তখন খবর নিয়েছিল তাঁর? কেউ নেয়নি।নাম মাত্র নমোঃ নমোঃ করে দায়িত্ব সেরেছিল। সেই সময় সেই নন্দিনীকেই একমাত্র কাছে পেয়েছিলেন তাপস। হাজতবাস শেষেও তো সোশ্যাল ট্যাবু। কেউ পুছতনা। ছবিতে কাজ করাতো দূর অস্ত। অবশ্য এখন তো উনি আর বেঁচে নেই তাই তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো খুব সহজ হবে পরিচিতদের কাছে। রবীন্দ্র সদন থেকে কেওড়া তলা হয়ে ধোঁয়ায় বিলীন হয়ে যাবে দাদার সব কীর্তি।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
নদী নাকি শুকিয়ে যাওয়া জমি ধরতে পারবেন! ইছামতীর প্রাণ ফেরাতে দারুণ উদ্যোগ
আরও দেখুন

SREEPARNA DASGUPTA 

বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
মনে অনেক যন্ত্রণা নিয়ে চলে গেলেন তাপস পাল !
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল