উত্তর দিলেন খোদ সায়কই । বললেন, ‘‘এটা সত্যিই খুব শীঘ্রই একটা ওয়েব সিরিজে আসছি আমি । আমার লুক পরিবর্তনটা কিছুটা হলেও সাহায্য করেছে আমাকে এই চরিত্রটা পেতে ।’’ অভিজ্ঞান মুখোপাধ্যায়ের ‘ফ্যান্টাজিম’ ওয়েব সিরিজের তৃতীয় সিজনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে সায়ককে । এই গল্পটির নাম ‘জাল’ । ‘‘গোটা সিরিজটাই রয়েছে ইলিউশন বা ফ্যান্টাজিমের উপর নির্ভর করে । প্রত্যেকটা গল্প একে অপরের থেকে আলাদা, আবার একটা জায়গায় এসে সবটাই কানেক্টেড । সম্পর্কের নানা গোলক ধাঁধাঁয় এগিয়ে যায় গল্প’’, এমনটাই জানালেন ছবির পরিচালক অভিজ্ঞান । সম্ভবত পুজোর আগেই জি 5-এ মুক্তি পাবে এই সিরিজ ।
advertisement
বর্তমানে সায়ক যোগ দিয়েছেন ‘সাঁঝের বাতি’ ধারাবাহিকে । সেখানে ‘গ্যারি’র চরিত্রে দেখা যাচ্ছে তাঁকে । গ্যারির চরিত্রটার সঙ্গে তাঁর নতুন লুকের দারুণ মিল রয়েছে । বিদেশ থেকে পড়াশোনা করে দেশে ফিরে আসা, আধা বিদেশী, আধা দেশীয় গ্যারির সঙ্গে তাঁর বর্তমান লুক, খুব ভাল মানিয়েছে । চরিত্রটি ভাল বাংলা বলতে পারে না । ইংরাজি মেশানো বাংলা সংলাপ বলতে গিয়ে ‘মেম বউ’-এর মতো ট্রোল হতে হবে, এমনটা ভেবে প্রথমে ভয় পেয়েছিলেন সায়ক । কিন্তু স্ক্রিপ্টের গুণে সে সব উতরে গিয়েছেন । সায়ক নিজেই জানালেন, সামনেই ধারাবাহিকে বেশ কিছু চমক রয়েছে । একে তো বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে গিয়েছে গ্যারির হবু বউ চিকু । তার উপর তাঁকে আরও নাস্তানাবুদ করবে ভূত । ধীরে ধীরে গ্যারির মধ্যে নেগেটিভ আর কমেডি, দু’টো শেডই দেখতে পাবেন দর্শকরা ।
অভিনেতা নিজেই জানালেন, তাঁর এই নতুন লুকের রহস্য । তাঁর বেশিরভাগ ছবিই সোজা চুলে । কারণ ওটাই তাঁর স্বাভাবিক চুলের ধরন । কিন্তু বারবার একই লুকে ছবি তুলতে তুলতে একঘেয়ে লাগছিল । তাই নিজের আইডিয়াতেই সামান্য কার্ল করিয়ে নেন সামনের চুলগুলি । তাতেই কেল্লা ফতে । অভিনেতা বলছেন, লুক চেঞ্জ করায় নাকি পরপর বেশ অনেকগুলো কাজের অফার পেলেন তিনি । সামনেই হয়তো ‘শ্রী কৃষ্ণভক্ত মীরা’ ধারাবাহিকে মীরা’র দাদার চরিত্রে এন্ট্রি নিতে পারেন সায়ক ।