দীর্ঘদিন ধরে পরিচালক-প্রযোজকদের সঙ্গে ফেডারেশনের সংঘাত চলছে। আইন আদালত অবধি গড়িয়েছে গোটা বিষয়টি। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ রয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ পরিচালকেরা বলেছেন ফেডারেশন তাঁদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয় না। অন্যদিকে পরিচালকদের বিরুদ্ধেও ফেডারেশনের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। মাঝে মধ্যেই খবরের শিরোনামে উঠে আসে এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে নানা সমস্যার কথা। আর সেখান থেকেই স্টুডিওপাড়ায় দেখা যায় অচলাবস্থা। সেই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসতে হয় স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কখনও পরিচালকেরা দাবি করেন, ফেডারেশনের সমস্যা আবার কখনও বেঁকে বসেন উল্টো দিকে থাকা কলাকুশলীরা। পরিচালকরা হাইকোর্টে মামলা করেছেন। যার দুটি শুনানি হয়ে গেছে। পরবর্তী শুনানি ১৯ মে।
advertisement
বুধবার পরিচালক সুদেষ্ণা রায় নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে একটি লাইভ করেন। সেখানে তিনি জানান, ২০ বছর ধরে সঙ্গে থাকা প্রোডাকশন ম্যানেজার শুটিং শুরুর মাত্র ছ’দিন আগে হঠাৎ করে কাজ ছেড়ে দেন। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গেই তিনি সেই প্রোডাকশন ম্যানেজার যে গিল্ডের সদস্য, সেই গিল্ড ও ফেডারেশনকে ইমেল করে জানান। কিন্তু তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি। এরপর একে একে আরও কয়েকজন টেকনিশিয়ানও ছবিটি থেকে নিজেদের সরিয়ে নেন। ফলে স্তব্ধ তাঁর শুটিংয়ের কাজ।
এরই মাঝে ফেডারেশনের তরফ থেকে মেগা মিটিং-এর ডাক দেওয়া হল। আগামী ১ মে শ্রমিক দিবস। সেদিনই টালিগঞ্জের কলাকুশলীদের সংগঠন ‘ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ান ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’র অন্তর্ভুক্ত সমস্ত গিল্ড এবং সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন এই মেগা মিটিংয়ে। ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসের কথায়, ‘এই মিটিং এর উদ্দেশ্য কলাকুশলীদের অবস্থা আরও সচ্ছল করা। তাদের রুটি-রুজির স্বার্থে, শ্রমিকের স্বার্থ রক্ষার্থে, তাঁদের কাজের পরিস্থিতি আরও উন্নত করতেই এই মিটিংয়ে আহ্বান।’ এবার দেখার এই মিটিং থেকে সিনে কর্মীদের জন্য নতুন কি উঠে আসে।