নিউজ১৮-কে বলতে গিয়ে রূপেশ জানালেন, ‘আমি ভাবতেই পারিনি, রাতারাতি এভাবেই আমি জনপ্রিয় হয়ে উঠব ৷ এখনও ভাবতে অবাক লাগছে৷ কেউ কেউ আমার এই ঘটনার প্রশংসা করেছেন, কেউ কেউ সমালোচনাও করছেন৷ আমি একটা কথাই বলতে চাই ৷ আমি খুবই মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে ৷ খুব সাধারণভাবে বড় হয়েছি ৷ তবে আমি আমার চাকরি নিয়ে খুব বিরক্ত ! আর বলতে পারেন এই বিরক্তি থেকেই এই ঘোড়া চড়া !’
advertisement
রূপেশের কথায় , ‘বহু মানুষ আইটিতে চাকরি করেন ৷ অন্য শহর থেকেও বেঙ্গালুরুতে আসেন চাকরি করতে ৷ ভাবেন টাকা, পয়সা হবে ৷ বিদেশ ভ্রমণ হবে ৷ কিন্তু এই মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিগুলো এই সব মানুষের জীবনকে একেবারে কিনে নিচ্ছে, বাঁচতে দিচ্ছে না ৷ টাকার বিনিময়ে ৩৬৫ দিন, ২৪ ঘণ্টাই যেন তাদের ৷ এই জীবনটাকে ঘেন্না করি এখন ৷ তাই সবাইকেই বলছি, নিজের কিছু শুরু করুন ৷ নিজের মতো বাঁচুন ৷’
তবে রূপেশ আইটি ছাড়ছেন না ৷ নিজের মতো করে আইটি কোম্পানি শুরু করছেন ৷ রূপেশ জানিয়েছেন, ‘শুধুই মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানির জন্য নয় ৷ এই শহরের দূষণ, ট্রাফিকে আমি ক্লান্ত ৷ আর সেই কারণেই চাকরি ছেড়ে অফিসের শেষ দিনে ঘোড়া নিয়ে পৌঁছলাম ৷ আমার বন্ধুরা কিন্তু আমাকে সাহস জুগিয়েছে ৷ আমার পরিবার আমার পাশে রয়েছে , এটাই তো সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ৷’
রিপোর্ট: Sharath Sharma Kalagaru