প্রিয়ার আগে অবশ্য ২ বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন সঞ্জয়। আর সঞ্জয়ের আগে প্রিয়া ১ বারই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন হোটেল মালিক বিক্রম চাটওয়ালের সঙ্গে। সেই বিয়ে থেকে প্রিয়া আর বিক্রমের রয়েছে এক কন্যাসন্তান – সাফিরা। অন্যদিকে বিক্রমের সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পর সঞ্জয় কাপুরের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন প্রিয়া।
advertisement
সঞ্জয়ের সঙ্গে তাঁর এক পুত্রসন্তান রয়েছে। নাম আজারিয়াস। তবে সঞ্জয় আর করিশ্মার দুই সন্তান সামায়রা এবং কিয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন, সেই বিষয়েই কথা বলেছেন প্রিয়া। তাঁর কথায়, “আমাদের দুই কন্যা একে অপরের খুবই ঘনিষ্ঠ। যখন আমাদের ছোট ছেলের জন্ম হয়, তখন দুই মেয়ে যেন আরও কাছাকাছি চলে আসে এবং ওর সঙ্গে দারুণ বন্ডিং তৈরি করে ফেলে। শুধু তা-ই নয়, আমাদের ছোট ছেলের সঙ্গে কিয়ানের বন্ডিংটাকেও সুন্দর করে তুলেছে ওরা। আমার ছোট ছেলে আজারিয়াস তো ওর দাদার সবথেকে বড় ভক্ত। সামায়রা এবং কিয়ানও ওদের মা-বাবার দাম্পত্যের ভাঙন দেখেছে। ফলে ওদের আবেগগত দিকটাও খুবই বেশি।
ইউটিউবে Kin and Kindness-এর সঙ্গে একই সাক্ষাৎকারে করিশ্মা কাপুরের সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণ নিয়েও আলোচনা করেছেন প্রিয়া। তাঁর কথায়, “আসলে আমাদের পারিবারিক গ্রুপ রয়েছে। আমরা একটা কাপুর ফ্যামিলি গ্রুপ তৈরি করেছি। এর পাশাপাশি ওদের মায়ের সঙ্গেও ওদের একটা কাপুর ফ্যামিলি গ্রুপ রয়েছে… আর ওদের মায়ের সঙ্গে আমার আর সঞ্জয়ের প্রচুর কথা হত। আমি তো ওঁকে লোলো বলেই ডাকি। আমরা ওঁকে চায়ের পার্টির জন্য আমাদের বাড়িতে আমন্ত্রণও জানিয়েছি। এরপরে চা পান থেকেই বিষয়টা ডিনার পর্যন্ত গড়াত। এমনকী আমাদের পারিবারিক অবসর যাপনেও যোগ দিতেন লোলো।”
সঞ্জয়-পত্নী আরও বলে চলেন যে, “সকলকে এক করতে সাহায্য করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বাচ্চারা। আসলে বাচ্চারা আমায় অনুরোধ করে বলেছিল যে, মায়ের কোনও প্ল্যান নেই… আমরা কি তাঁকে আমন্ত্রণ জানাতে পারি? কারণ আমরা চাই না, মা একাকী বোধ করুক। আর আমি বলেছিলাম, নিশ্চয়ই। কারণ আমি আমার স্বামীর সঙ্গে আমার সম্পর্কটা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আর করিশ্মাও নিজে খুবই ভাল জায়গায় রয়েছেন। তিনিও চান যে, সন্তানদের সঙ্গে ওঁদের বাবার সম্পর্ক মজবুত হোক। তাই সকলেই নিজেদের নিরাপত্তাহীনতা এবং সমস্যার বাইরে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন। আমাদের নিজেদের কিংবা আমাদের নিরাপত্তাহীনতা বা ঝামেলা নিয়ে আলাপ-আলোচনা কখনওই হত না।”