সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বর্ষীয়াণ বামনেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ৷ সিপিআইএমের নিজস্ব পার্টি ডিজিটাল মাধ্যমে শোকপ্রকাশ করে তিনি জানান, ‘সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু এক গভীর দু:খজনক ঘটনা।বাংলা চলচ্চিত্র চিরকাল তাঁর কাছে ঋণস্বীকার করবে। আমি তাঁর পরিবার পরিজনকে সমবেদনা জানাই।'’
প্রথম থেকেই কবিতা, আবৃতি, সাহিত্য, বাম রাজনীতির দিকে ঝোঁক ছিল প্রচুর ৷ তাই সৌমিত্র মানেই যে শুধুই সিনেমার পর্দায় ডাকসাইটে অভিনেতা তা একেবারেই নয় ৷ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় নিজেকে মেলে ধরেছিলেন সংস্কৃতির নানা দিকে ৷
advertisement
কখনও রোমান্টিক নায়ক ৷ কখনও লড়াই করা মধ্যবিত্ত যুবকের চরিত্রে সৌমিত্র বাঙালির ঘরে জায়গা করে নিয়েছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ৷ বাণিজ্যিক ছবি থেকে অন্য ধারার ছবিতেও সমান ভাবে ছাপ ফেলেছিলেন সৌমিত্র ৷ তবে সত্যজিৎ রায়ের ছবিতে অভিনয়ই তাঁকে গোটা বিশ্বে জনপ্রিয় করেছিল সবচেয়ে বেশি ৷
১৯৫৯ সালে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় প্রথম সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় অপুর সংসার ছবিতে অভিনয় করেন। পরবর্তীকালে তিনি মৃণাল সেন, তপন সিংহ, অজয় করের মত পরিচালকদের সঙ্গেও কাজ করেছেন। সিনেমা ছাড়াও তিনি বহু নাটক, যাত্রা, এবং টিভি ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন।সিনেমাটা বড্ড ভালোবাসতেন তিনি ৷ তাই হয়তো করোনা কালেও শ্যুটিং ফ্লোরে যাওয়ার জন্য ছটফট করতেন ৷ এই বয়সেও ভালো ছবিতে অভিনয় করার জন্য খিদে ছিল ষোলোয়ানা ৷ তাই তো এই বয়সেও একের পর এক বক্স অফিসে সুপারহিট সব ছবি ৷ ‘বেলাশেষে’, ‘ময়ূরাক্ষী’, ‘বসু পরিবার’, ‘সাঁঝবাতি’, ’ তার প্রমাণ ৷
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে স্বাভাবিকভাবেই ভারতীয় সিনেমার এক অধ্যায়ের শেষ ৷ বাংলা সিনেমার অপূরণীয় ক্ষতি ৷