ডিজিটাল কমেন্টারি-র সঙ্গে আলাপচারিতায় সুরজ বরজাতিয়া বলেন যে, “সেই ‘ম্যায় প্রেম কি দিওয়ানি হুঁ’ ফ্লপ হওয়ার পর কল করেছিলেন সলমন। বলেছিলেন যে, কোনও কিছু নিয়ে কাজ করা যাক। কিন্তু সেই সময়ে সলমনের জন্য আমার হাতে কোনও গল্প ছিল না। এদিকে ‘বিবাহ’ এমন একটি গল্প, যেটি আমার বাবা আমায় দিয়েছিলেন।” নিজের কেরিয়ারের বিষয়ে সুরজ একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, তিনি আপোস করবেন না।
advertisement
আরও পড়ুন: বরফের মতো গলবে চর্বি! ঝরবে পেটের মেদ…রাতে শুধু খেতে হবে এই একটি জিনিস
সুরজ আরও বলেন, “যখন আমি এটা বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, তখন আমি জানতাম যে, সলমন এই জায়গায় ফিট করবেন না। কারণ তিনি বড়সড় তারকা ছিলেন… এমন কাউকে প্রয়োজন ছিল, যাঁর মধ্যে ভোলাভালা একটা ব্যাপার রয়েছে। সেই সঙ্গে বয়সটাও একটা বিষয় ছিল। আর বয়স কারও জন্য থমকে থাকে না। আর এই ভাবেই আমি শাহিদ আর অমৃতাকে কাস্ট করেছিলাম।”
আরও পড়ুন: পড়াশোনায় মন বসে না সন্তানের? খারাপ হয় রেজাল্ট? সরস্বতী পুজোর দিন করুন এই কাজ…সাফল্য হাতেনাতে
যদিও শাহিদ কাপুরকে তখনও পুরোপুরি নেওয়া হয়নি। যে কোনও মুহূর্তে বদল করা হতে পারত তাঁকে। নিজের কেরিয়ারের কঠিন সময়েও কীভাবে সুরজ বরজাতিয়া তাঁকে সাহায্য করেছিলেন, সেই বিষয়টাও সম্প্রতি তুলে ধরেছিলেন শাহিদ কাপুর। আসলে বক্স অফিসে একের পর এক ছবি ফ্লপ হতে শুরু হয় শাহিদের। তবে সেই সময় ‘বিবাহ’ ছবি থেকে যাতে তাঁকে বাদ দেওয়া না হয়, তার জন্য শাহিদ অনেক অনুরোধ করেছিলেন। সেই সময় সুরজ বরজাতিয়াই ছিলেন অভিনেতার পাশে।
বলিউড হাঙ্গামা-র কাছে শাহিদ বলেন যে, “সুরজজি আমায় বলেছিলেন যে, ক্যামেরার সামনে কী করতে হয়, সেটা যদি জেনে থাকো, তাহলে সেটাই করো। আর বাকিটা আমার উপর ছেড়ে দাও। সেই সময় বিবাহ ছিল সবথেকে বড় হিট। তিনি আমায় সমর্থন করে গিয়েছেন। এমনকী আমার উপর বিশ্বাস রেখেছিলেন। এর ফলে সুরজ বরজাতিয়া আর ‘বিবাহ’ নিয়ে আমার সেরা স্মৃতি তৈরি হয়েছিল।”
প্রসঙ্গত, ‘বিবাহ’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অমৃতা রাও। ২০০৬ সালের সেরা আয়কারী ছবিগুলির মধ্যে অন্যতম হয়ে ওঠে ছবিটি। আর ‘বিবাহ’ ছবিই শাহিদের কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। শুধু শাহিদেরই নয়, অমৃতা রাওয়ের সবথেকে অবিস্মরণীয় ছবিগুলির মধ্যে অন্যতম হয়ে রয়েছে এটি।
